বিশ্ব দরবারে ফের সাফল্য ভারতের, মেধার জোরে ‘গিনিস বুকে’ নাম তুললো ৬ বছরের খুদে

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃ এবার বিশ্বের দরবারে ভারতের নাম উজ্জ্বল করল এক ছ-বছরের খুদে। কম্পিউটার প্রোগ্রামে পারদর্শী হিসেবে গিনিস বিশ্ব রেকর্ডে নাম উঠেছে ছ-বছর বয়সী এক বালকের, এমনটাই জানা গেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবরে। এই রেকর্ডের কথা সামনে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সকলেই কুর্নিশ জানিয়েছেন একরত্তি ওই বালককে।
জানা গেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের ওই বালকের নাম আর্হাম ওম তালসানিয়া। সে আমেদাবাদের একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। কিন্তু মাত্র ছ-বছর বয়সেই সে কম্পিউটারের পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লিয়ার করতে সক্ষম হয়েছে। ভার্চুয়াল ইউনিভার্সিটি এন্টারপ্রাইজের (VUE) পরীক্ষা কেন্দ্রে মাইক্রোসফট-এর তরফে যে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাতেই এই আশ্চর্য সাফল্য লাভ করেছে সে।
Gujarat: Arham Om Talsania, a Class 2 student from Ahmedabad, created Guinness World Record as World’s Youngest Computer Programmer by clearing Python programming language exam at the age of six.
He says,"My father taught me coding. I started using tablets when I was 2 yrs old" pic.twitter.com/poOkKmcgAf
— ANI (@ANI) November 9, 2020
নিজের সাফল্যের সমস্ত কৃতিত্ব অবশ্য নিজের বাবাকেই দিয়েছে ছ-বছরের আর্হাম। “আমার বাবা আমাকে কোডিং শিখিয়েছে। ২ বছর বয়সেই আমি ট্যাবলেট ব্যবহার করতে শুরু করি। ৩ বছর বয়সে আমি উইন্ডোজ-এর ফোন চালাতে থাকি। পরে আমি জানতে পারি আমার বাবা পাইথনের ওপর কাজ করছে”, বলে আর্হাম। শুধু তাই নয়, আরো জানায়, ” আমি যখন পাইথন থেকে সার্টিফিকেট পাই, তখন ছোট ছোট গেম আমি বানাচ্ছিলাম। ওরা আমার কাজের কিছু প্রমাণ চায়। এর কিছু মাস পরে গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আমার নাম ওঠে।”
বড় হয়ে ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা হতে চায় ছোট্ট আর্হাম। মানুষকে সাহায্য করাই স্বপ্ন তার। “আমি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ, গেম, এবং কোডিং সিস্টেম বানাতে চাই। এছাড়া যাদের দরকার তাদের সাহায্য করতে চাই আমি।” বলে সে। আর্হামের প্রোগ্রামিং-এর হাতেখড়ি তার বাবা ওম তালসানিয়ার কাছ থেকেই। ছোট্ট আর্হামের গর্বিত বাবা জানান, ” ছোট থেকেই ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের উপর ওর চোখে পড়ার মতো আগ্রহ ছিল। ট্যাবলেটে গেম খেলত ও। এরপর একসময় নিজেই সেই গেম তৈরি করার ভাবনা মাথায় আসে ওর। তাছাড়া আমাকেও কোডিং করতে দেখত ও।”
আর্হামের রেকর্ড স্বভাবতই সাড়া ফেলে দিয়েছে বিশ্বে। মাত্র ছ-বছর বয়সে যদি গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে আরো কত আশ্চর্য সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে এই খুদে প্রতিভার মধ্যে? বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সকলেই।