
কলকাতা:উৎসবের আমেজ আমজনতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী মন্ত্রী আমলা পর্যন্ত সবাইকেই ছুঁয়ে যায়। আর দুর্গোৎসব হলো বাঙালির প্রাণের উৎসব, তার আত্ম-পরিচয়ের উৎসব। সেই উৎসবে সামিল হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আজ তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী আসন্ন উৎসব উপলক্ষে রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এই করোনা পরিস্থিতিতে সতর্ক হয়ে চলার জন্য সাবধান বাণী শুনিয়েছেন।
জাগো বাংলার মঞ্চ থেকে আজ মুখ্যমন্ত্রী এবারের দূর্গ উৎসবে শামিল সমস্ত পুজো কমিটিকে কোভিড প্রটোকল মেনে চলার অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোকে অনুরোধ করে বলেছেন তারা যেন ভিড়ের ছবি না দেখায়। যে পুজো গুলোতে অতিরিক্ত ভিড় হচ্ছে তারা যেন তা এড়িয়ে যায়।
সেরা পুজোর লড়াই নিয়ে বেশ একটা স্বাস্থ্যকর রেষারেষি চলে কলকাতা সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের পুজো গুলোর মধ্যে। এবারের করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পুজোর পুরস্কার দাতাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, যে পুজো কমিটিগুলো যথোপযুক্তভাবে কোভিড প্রটোকল মেনে চলবে তাদের যেন প্রাধান্য দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনি সমস্ত ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতি আহ্বান রেখেছেন তারা যেন কোভিড প্রটোকল মেনে চলা পুজো গুলিকে এবং একই সঙ্গে যারা দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছে এই কঠিন পরিস্থিতিতে, তাদের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরে। এই প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জি গ্রাম বাংলার ছোট্ট অথচ প্রাণের ছোঁয়া যেখানে পাতায় পাতায় খেলে যায়, সেই পুজো গুলিকেও সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার আহ্বান রেখেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী করোনার সংক্রমণ নিয়ে বলতে গিয়ে মন্তব্য করে বসেন বিমান পরিবহন ও আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যের কারণে করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি কিন্তু পুজোর বাজারে মানুষের ভিড় করে যাওয়াকে এড়িয়ে গিয়েছেন। সংশ্লিষ্টমহলের ধারণা এটা সচেতনভাবেই এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই সঙ্গে তিনি বিজেপিকেও নিশানা করতে ছাড়েননি। তার বক্তব্য “করোনা, ডেঙ্গু সেই সঙ্গে বিজেপি এই তিন আতঙ্কের মহামারী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।” তিনি অভিযোগ করেছেন যে পরিস্থিতিই হোক না কেন, মানুষের জীবনে যে বিপর্যয়ই নেমে আসুক না কেন বিজেপির একটাই লক্ষ্য ক্ষমতা দখল করা। বিজেপিকে দোষারোপ করে বলেন তারা বাঙালির সভ্যতা কৃষ্টি কিছুই মানে না। নোংরা নোংরা কথা বলে।
সেই সঙ্গে মমতা ব্যানার্জি তার শৈল্পিক সত্তার কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন তিনি খুব দ্রুত কবিতা লিখতে পারেন। প্রসঙ্গত এবারের পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা শারদীয়া থিম সং প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলি গেয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন, রূপঙ্কর বাগচী, দেবজ্যোতি মিশ্র গায়কেরা।