
মহানগরবার্তা ডেস্ক: কালী নিয়ে বিতর্ক থামতেই চাইছেনা। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য নিয়ে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। মহুয়ার দেবীর মন্তব্যকে সামনে রেখে কার্যত নূপুর শর্মার বক্তব্য এবং তারপরে দেশজোড়া প্রতিক্রিয়ার স্বপক্ষে যুক্তি হাজির করার চেষ্টা করছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু কৃষ্ণনগরের সাংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন নুপূর শর্মা এবং তিনি এক নন, দু’জনের মন্তব্যকে একই সারিতে রাখাটা সঠিক হবেনা।
মহুয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রীরা। বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফে বিক্ষোভও দেখানো হয় কলকাতায়। বিভিন্ন থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মহুয়ার নামে। মহুয়া অনড় রয়েছেন তাঁর অবস্থানে। তিনি জানিয়েছেন তিনি ভুল কিছু বলেননি। তিনি কালি নিয়ে বানানো তথ্যচিত্রের পোস্টারটি দেখননি, তাই সেটা ভালো না খারাপ তা তিনি জানেননা, এবং সেই বিষয়ে কিছু বলেনওনি। তিনি শুধুমাত্র কালিকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন এবং তিনি সঠিকভাবেই এই মন্তব্য করেছেন, তিনিও শক্তির পূজারি।

বিজেপি তাঁর সঙ্গে নূপুর শর্মার তুলনা করায় সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে তিনি জানিয়েছেন “প্রয়োজনে আপনারা হলফনামা জমা দিয়ে জানান যে আমি যা বলেছি তা হয় না। বিল আনুক বিজেপি। যদি BJP আমাকে ভুল প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি আমার কথা ফেরত নেব।” তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ক্ষমা চাইবেন না।
উল্লেখ্য, রাজ্য শাসক দল নূপুর শর্মা নিয়ে সরব হলেও মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য নিয়ে কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরও জবাব দিয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, “নূপুর শর্মা এবং আমার বিষয়টা আলাদা। আমি নিজে দেবীর পুজো করি। কাউকে আঘাত করিনি। তিনি অন্যের ধর্ম উপাসনাকে আঘাত করেছেন।” অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন নূপুর শর্মা এবং তাঁর অবস্থানে যথেষ্ট ফারাক আছে। যদিও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি, এটা একান্তই সাংসদের ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে এরিয়ে গেছে তারা। এরপর মহুয়া তৃণমূলের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলকে আনফলোও করেন। এই প্রসঙ্গেও তিনি জানান “আমি দিদির সৈনিক, তাই দিদিকেই ফলো করছি”।

