ভোটের পরেই উলোটপুরান, নন্দীগ্রামে বিজেপি থেকে শতাধিক কর্মী যোগদান করলেন তৃণমূলে
ভোটের পরেই উলোটপুরান, নন্দীগ্রামে বিজেপি থেকে শতাধিক কর্মী যোগদান করলেন তৃণমূলে

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক :- বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রামে যে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছিলো এদিন ফের সেই নন্দীগ্রাম ই রাজনৈতিক তরজায় হয়ে উঠলো তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন নন্দীগ্রামে বিজেপি থেকে প্রায় কয়েকশো নেতা, কর্মী যোগ দিলো তৃণমূলে। নন্দীগ্রামে বিজেপি ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এহেন পরিস্থিতি একেবারেই তাৎপর্যপূর্ণ, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।
প্রসঙ্গত, এবারের এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মনোনীত প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন। বলাবাহুল্য, এর পর থেকেই রাজনৈতিক পরিসরে শুভেন্দু অধিকারীর আধিপত্য এবং ভোটের ফলাফলকে সমান্তরাল সরলরেখায় রেখে অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এদিন নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের ফের তৃণমূলে যোগকে সার্বিকভাবে জয় বলেই মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে গোটা রাজ্য জুড়েই যেভাবে বিজেপির অন্দরমহলে চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছিলো তার রেশ এদিন পড়লো নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রামের ১নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি স্বদেশরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে এদিন সমস্ত বিজেপির নেতা, কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। এই বিষয়ে স্বদেশরঞ্জন দাস বলেন, “বিজেপি থেকে প্রায় ৩৬০ জন মতো যোগ দিলেন তৃণমূলে। এদের মধ্যে একজন বিজেপির জেলা মহিলা নেতৃত্ব অনিন্দিতা জানাও এদিন আমাদের দলে যোগ দিলেন, পাশাপাশি আর্মি সংগঠনের সুভাশিষ জানাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও করীমপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কর্মীরা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।”
এই বিষয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল বলেছেন,”ওরা আমাদের দল ভাঙিয়েছে। ওদের প্রধানরা বলেছে আধার সহ বিভিন্ন পরিষেবা দেবে। এই টোপ দিয়েই ওরা আমাদের দলের সাধারণ কর্মীবৃন্দকে দলে টানলো। এতে বিজেপি একেবারেই ক্ষতিগ্রস্ত নয় বরং নন্দীগ্রামে বিজেপির বর্তমান অবস্থা আরও মজবুত হলো। ওরা একেবারেই দলের সাধারণ কর্মী, ভোট দিলেও দিতে পারে। ওদের বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে, ফর্মে সই করেই দলের অন্তর্ভুক্ত করেছে তৃণমূল।”