জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া মৌলিক অধিকার, লাভ জিহাদ বিতর্কে রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: বিবাহের নামে ধর্মান্তর বা লাভ জিহাদ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই দেশ জুড়ে দানা বেঁধেছে একাধিক বিতর্ক। বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে ইতিমধ্যেই এই ধর্মীয় প্রতারণা রুখতে কড়া আইন প্রণয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। কিন্তু লাভ জিহাদ নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখনই সম্প্রীতির সুর শোনাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
এদিন একটি মামলার রায় দান প্রসঙ্গে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে, কে হিন্দু, কে মুসলিম তা নিয়ে আদালতের কোনও মাথাব্যথা নেই। বিষয়টিকে এ ভাবে না দেখে দু’জন প্রাপ্তবয়স্কের সম্পর্ক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কে কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন, সেটা ওই দুই ব্যক্তির মৌলিক অধিকার বলেও দাবি করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। দেশ জুড়ে লাভ জিহাদ বিরোধী আবহ যখন ক্রমে দৃঢ় হচ্ছে, তেমন অবস্থায় আদালতের এই রায় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
জানা গেছে, প্রিয়ঙ্কা খারওয়াড় নামের এক হিন্দু তরুণী এবং সালামত আনসারি নামের এক মুসলমান ব্যক্তির বিবাহ বিষয়ক একটি মামলায় এই রায় দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। গত বছর তাঁদের বিয়ে হয়। প্রিয়ঙ্কার বাড়ির লোকের অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করেছেন সালামত। এই মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে উঠলে প্রিয়ঙ্কা বাড়ির লোকের করা অভিযোগ উড়িয়ে দেয় আদালত। এ ব্যাপারে আদালতের সাফ বক্তব্য,কারও ব্যক্তিগত সম্পর্কে নাক গলানো মানেই তাঁদের পছন্দের স্বাধীনতা হরণ করা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্ণাটক, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশের পর সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ সরকারও লাভ জিহাদ বিরোধী আইন প্রণয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। বল্লভপুরে ধর্মীয় প্রতারণার জেরে এক তরুণীকে হত্যার ঘটনার পর থেকেই সামনে আসে লাভ জিহাদ বিতর্ক। এরপর গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থা তনিশকের একটি বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করেও বিতর্ক দানা বাঁধে। তারপর থেকেই একে একে নানা প্রসঙ্গে মাথা চারা দিয়ে উঠেছে ধর্মীয় প্রতারণার বিতর্ক।