
নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন জায়গায় জায়গায় মাথা চারা দিয়ে উঠছে রাজনৈতিক দলগুলোর গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। এবার হুগলির পুরশুড়ায় তৃণমূলের এক কর্মী সম্মেলনে প্রকাশ্যে এল শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। সভাপতিকে সামনে পেয়ে প্রকাশ্যেই নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পঞ্চায়েতের এক সদস্য ।
পুরশুড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁতিশাল পঞ্চায়েতের এক সদস্য। দিলীপ যাদবকে দেখে তিনি প্রকাশ্যে বলেন, “পঞ্চায়েতে এক একটি ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েতে ঢুকলেই বুঝতে পারবেন।”
এখানেই থেমে না গিয়ে ওই পঞ্চায়েত কর্মী আরো অভিযোগ করেন। আমফান বিপর্যয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যে শাসকদলের কাছ থেকে আদেও সাহায্য পান নি তেমনটাই দাবি করেন তিনি। “আমফানে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে টাকা না দিয়ে বঞ্চিত করা হয়েছে।” বলেন তিনি। সুতরাং আমফানের সময়ে ওই এলাকায় যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তাই কার্যত স্পষ্ট হয়েছে তাঁর অভিযোগে।
এদিন পুরশুড়া নিমডিঙ্গিতে শাসকদলের এই গোষ্ঠী বিবাদের সাক্ষী ছিলেন অন্যান্য কর্মীরাও। এদিনের পুরশুড়া বিধানসভার কনভেনর কিংকর মাইতির ডাকা সম্মেলনে দেখে মেলেনি পুরশুড়ার বিধায়ক নুরুজ্জামান সহ আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার।যুব তৃনমূলের একটা বড় অংশও অনুপস্থিত ছিলেন,ছিলেন না অনেক পঞ্চায়েত সদস্যরাও।দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কর্মী পর্যায়ে কি তবে তৈরি হচ্ছে অসন্তোষ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক তৃনমূল কর্মীর বক্তব্য অনুযায়ী, “আজকে কিংকরের ডাকে হচ্ছে ,কাল পারভেজের ডাকে হবে পরশু খোকন মল্লিকের ডাকে হবে, এমনটা হলে চলবে না।”এমনভাবেই সরাসরি ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেছে পুরশুড়ার ২ এলাকার তৃনমূল সদস্যদের।
এদিনে পুরশুড়া বিধায়ক নুরুজ্জামান ও সাংসদ অপরুপা পোদ্দার কেন আসেনি? হুগলী জেলা তৃনমূল সভাপতি প্রশ্ন করায় সুকৌশলে প্রশ্ন এরিয়ে গিয়ে বলেন “সংবাদমাধ্যম উত্তরপ্রদেশের হাথরাস নিয়ে ভাবুক।” অর্থাৎ দলীয় কোন্দলে সংবাদমাধ্যমের অনুপ্রবেশ খুব একটা সুবিধার চোখে দেখছে না শাসকদল।