‘পুলিশ কর্মীরা দুর্নীতিগ্রস্ত’, বিতর্কিত মন্তব্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি দিলীপের বিরুদ্ধে

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার বেকায়দায় পড়লেন দিলীপ ঘোষ। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলই কার্যত বাংলায় বাজিয়ে দিয়েছে ভোটের দামামা। আর কয়েক মাস পরেই অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।এবার সেই আবহের মাঝেই আইনি বিপাকে জড়ালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকি তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে বলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
জানা গেছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বর্ধমান আদালত। প্রায় বছর খানেক আগের এক অভিযোগের ভিত্তিতে জারি করা হয়েছে এই পরোয়ানা। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। শুধু আপত্তিকর নয়, তাঁর মন্তব্য উস্কানিমূলক বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল।
কী ছিল সেই বিতর্কিত মন্তব্য? জানা গেছে, গতবছর ৪ নভেম্বর বর্ধমানের রায়না এলাকায় একটি সভায় পুলিশের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিষোদ্গার করেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। ওই সভায় দিলীপকে বলতে শোনা যায়, “রাজ্যের পুলিশকর্মীরা আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে। টাকা না দিলে পুলিশের চাকরি মেলে না। প্রমোশনের জন্যও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। এসপি থেকে ওসি সকলকে টাকা তুলতে হয় এবং সেই টাকা যায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে।” দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে স্বভাবতই ভালো চোখে দেখেননি পুলিশ কর্মীরা।
সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রায়নার সেহারাবাজার ফাঁড়ির এক পুলিশকর্মী। তাঁর অভিযোগ ছিল, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য পুলিশের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সাধারণ মানুষের মনে পুলিশের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, এবং পুলিশকর্মীদের মনোবলে চিড় ধরিয়েছে।অভিযোগের ভিত্তিতেই দিলীপের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এই মামলার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। আদালতে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। শুক্রবার সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বর্ধমান আদালত।
তবে গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভীত নন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলছেন, “আমার বিরুদ্ধে প্রতিদিনই কোনও না কোনও মামলা দায়ের হচ্ছে। এই বিষয়টি জানা নেই। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে থাকলে আদালতে জামিনের আবেদন করব।”এরপর ক্ষমতায় এলে তাঁর বিরুদ্ধে যাওয়া ব্যক্তিদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দিয়েছেন তিনি।