
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: রাজ্য জুড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। বিহারের নির্বাচনের পালা মিটতেই কার্যত পশ্চিমবঙ্গেও বেজে গেছে ভোটের দামামা। দিন যতই এগোচ্ছে রাজনৈতিক দল গুলির বাতাবরণে ততই যেন উত্তপ্ত হয়ে চলেছে রাজ্যের প্রাক নির্বাচনী পরিস্থিতি। সেই প্রেক্ষিতেই এবার মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের শাসকদলকে ফের এক হাত নিলেন বাবুল সুপ্রিয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর দাবি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়েছে। বহু বিজেপি কর্মীদের হত্যা করেছে শাসকদল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে আগামী বছরের নির্বাচনে বাংলায় যে ২০০-র বেশি আসনে জয় পেতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি সে বিষয়েও তিনি নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।
শুক্রবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বাবুল জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। মমতা দিদির ক্ষমতায় থাকার কারণ হল পুলিশ প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহার। আমার বিশ্বাস, আমরা বাংলার ভোটে ২০০-র বেশি আসনে জিতব।” তিনি আরো বলেন, “বিজেপি সরকার গঠিত হলে রাজ্যের যা দরকার তাই পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানে বিশ্বাস করেন না। আমাদের রাস্তা পরিষ্কার আর আমরাই জিতব।”
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যে হিংসা ও বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগ আনেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে গত ৩ বছরে ১৩০-এর বেশি বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা বলে এখানে কিছুই নেই। বিজেপি কখনো হিংসা ছড়ায় না। বাংলা থেকে সবসময়েই হিংসার খবর আসে। আমাদের নেতাদের উপর একাধিক আক্রমণ হয়েছে।” এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাবুল বলেন, “দিদি যদি ভেবে থাকেন তিনি এটা চালিয়ে যেতে পারবেন তাহলে সাংবিধানিক পদ্ধতিতেই মমতা হঠানোর কাজ করা হবে। ভোটের আগে সংবিধান মেনে কাজ করলেই ওঁর পক্ষে মঙ্গল।”
উল্লেখ্য,বাংলায় ভোট পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ইতিমধ্যেই বাইরে থেকে একাধিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে বিজেপি। সবমিলিয়ে বলা যায়, একুশের ভোটের আগে জমজমাট বাংলার রাজনৈতিক মহল।