
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: অধ্যাবসায়, জেদ ও ইচ্ছেকে সঙ্গী করে সাফল্যের মুখ দেখলো সর্বভারতীয় পরীক্ষায় পাশ করা বাংলার দুই কৃতি। শুধুমাত্র পাশ করা বললে ভুল হবে, সিভিল সার্ভিসের চূড়ান্ত স্তরের পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন অঙ্কিতা আর ইন্দ্রাশিষের স্থান ৯৪ তে।
কলকাতার বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেন অঙ্কিতা আগরওয়াল।তার পর কলেজের পড়াশোনা সেরেছেন দিল্লিতে। পড়াশোনা শেষে কর্পোরেট সেক্টরে মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরিতে যোগ দেন। সেখানে চাকরির পাশাপাশি চালিয়েছেন আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি। শেষে চাকরি ছেড়ে দিনরাত পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মন বসিয়েছেন তিনি। বাড়িতে পড়াশোনার পাশাপাশি কোচিংয়ের সাহায্যও নিয়েছেন। এবং করোনা সময়ে অনলাইনেও প্রস্তুতি সেরেছেন তিনি। এর পাশাপাশি মানসিক প্রস্তুতিও নিয়েছেন অঙ্কিতা, তিনি বলেন ‘ আমি প্রস্তুতির ফাঁকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়েছি মা মারাত্মকভাবে মনোযোগ নষ্ট করে।
বাংলার আর একজন কৃতি ইন্দ্রাশিস দত্ত মেদিনীপুর শহরের বার্জ টাউনের ছাত্র। ইন্দ্রাশিস অবশ্য ছোট থেকেই কৃতি ছাত্র। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। এরপর মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ২০১১ সালে মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন। সেখানে ৩৫ তম স্থান করেন ইন্দ্রাশিস।যে কারণে তিনি সরাসরি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যান। যদিও মেডিক্যালে স্থান পেলেও কৃতি এই ছাত্রের টান ছিল বিজ্ঞানের প্রতি। তাই মাঝপথেই মেডিক্যাল ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে IISC- তে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন ইন্দ্রাশিস। সেখানে পাড়িও দেন।
পরবর্তী কালে বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি পাড়ি জমান ইজরায়েলে (Israel)। তারপর ২০১৮ সালে দেশে ফিরে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন। অবশেষে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষাতেই সাফল্যের চাবিকাঠি এল ইন্দ্রাশিসের জীবনে। ইন্দ্রাশিসের কথায়, “সফল হতেই হবে, এই আপ্তবাক্য সম্বল করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। জানতাম ভাল ফল করতে পারব।”