‘গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায় শুনেই বিজেপিতে গেছিলাম’, তৃণমূলে ফিরে যুক্তি বীরভূমের নেতার

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্কঃ ফের ভাঙন বঙ্গ পদ্ম শিবিরে৷ এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ঘর-ওয়াপসি হল বীরভূমের নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। শনিবার তৃণমূলে ফিরলেন তিনি। এদিন তাঁর হাতে ঘাস ফুলের পতাকা তুলে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গদাধরের দাবি, প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিজেপি-তে। যদিও তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের তরফে কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর উদ্দেশে।
এদিন, নানুরের কীর্ণাহার ২ নম্বর অঞ্চল সম্মেলনের মঞ্চে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল এবং লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিত্ সিংহ। এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই গদাধর হাজরা দলে ফেরার আবেদন জানাচ্ছিলেন। আমরা চাই দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে দলের হয়ে কাজ করবেন। দলে যাঁরা ফিরতে চাইবেন, তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৯ মে মাসে নয়া দিল্লিতে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে গদাধরের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিন দল বদলের পরেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন পদ্ম শিবিরকে। তিনি বলেন, “বিজেপিতে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, গরুর দুধে নাকি সোনা পাওয়া যায়। সেই সোনার লোভেই আমি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। ভুলবশত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলাম। এখন তৃণমূলের হয়েই কাজ করতে চাই।”
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দের মতে, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নানুর কেন্দ্র থেকে শাসকদলের হয়ে টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন গদাধর। তারপর ২০১৬-য় সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী হাজরার কাছে পরাজিত হন। এর পর ২০১৯-এ বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তাতেই এই সিদ্ধান্ত কিনা প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

