পুলিশি বর্বরতার প্রতিবাদে আজ ফের রাস্তায় বিজেপি, ডাক মৌন মিছিলের

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: গতকাল বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের পর আজ ফের রাস্তায় নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। গতকালের মিছিলে পুলিশি বর্বরতার প্রতিবাদেই আজ শহরের রাজপথে তাঁরা মৌন মিছিল করবেন বলে জানা গেছে। গতকালের মতোই আজও মিছিলে থাকবেন রাজ্য বিজেপিরএকাধিক নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার বিজেপি যুব মোর্চার ডাকে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে তৈরি হয়েছিল বিশৃঙ্খলা। জায়গায় জায়গায় মিছিল দমনে পুলিশের অতি সক্রিয়তা লক্ষ করা গিয়েছিল। পুলিশ বিজেপি সংঘর্ষে সারাদিন উত্তপ্ত ছিল শহরের পরিবেশ। একাধিক জায়গায় বিজেপির মিছিল দমন করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ব্যবহার করা হয় টিয়ার গ্যাসের শেল, রঙিন জলের জলকামানও।
বিজেপির কর্মীরাও পাল্টা ইট বৃষ্টি করে পুলিশকে লক্ষ করে। হাওড়া ময়দান সংলগ্ন এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এমনকি এক বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্রও। দিলীপ ঘোষ যদিও দাবি করেছেন উদ্ধার প্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। বিজেপির মিছিল দমনে এই পুলিশি সক্রিয়তা, বর্বরতার প্রতিবাদেই আজ শুক্রবার ফের পথে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। তবে আজকের কর্মসূচি মৌন মিছিল।
গতকালই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন,”বিজেপি কর্মীদের উপরে পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে আগামিকাল মৌন মিছিল করব।” মৌন মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য সভাপতির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জানা গেছে রাজ্য দফতর থেকে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত হবে এই মৌন মিছিল।
প্রসঙ্গত, গতকালের মতোই আজও নবান্ন বন্ধ। স্যানিটাইজেশনের কারণে বৃহস্পতি ও শুক্রবার নবান্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। পুলিশি তৎপরতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা নেত্রী। তেজস্বী সূর্য বলেছেন, ”আমাদের হাজারের বেশি কর্মী জখম হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫০০ জনকে। গতকাল রাত থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাস আটকে দেওয়া হয়। এটা কি গণতন্ত্র? রাজনৈতিক বিক্ষোভের অধিকার নেই? গোটা হাওড়া ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দু-তিন জায়গায় লাঠিচার্জ হয়েছে।”