
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদল এবং বিরোধীদের বাক বিতণ্ডায় দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দুদিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরকে ঘিরেও শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। এদিন অমিত শাহের শাসকদল বিরোধী মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে ফের সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই, সে কথাই উঠে এসেছে তাঁদের বক্তব্যে।
আজ বৃহস্পতিবার অমিত শাহের রাজ্য সরকার বিরোধী এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অমিত শাহর টাকে চুল গজালেও গজাতে পারে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কখনও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হবে না।” শুধু তাই নয়, চুঁচুড়ায় সংবাদমাধ্যমের সামনে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরো বক্তব্য, “বাঁকুড়া এবং হুগলির ৩০টা আসনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন।’’
বস্তুত, আজ বাঁকুড়ায় সাংবাদিকদের সামনে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন,‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে। বাংলায় দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতে সরকার গড়বে বিজেপি।’’ এরপর অমিত শাহ আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন। তাই বাংলায় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে দিচ্ছেন না।”অমিত শাহের এই বক্তব্যের পর থেকেই শাসকদলের তরফে উড়ে আসতে থাকে একের পর এক পাল্টা জবাব। সেই সূত্র ধরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “মমতার মৃত্যুঘণ্টা বাজানোর আগে নিজেদের মৃত্যুঘণ্টা না বেজে যায়।’’
শুধু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, অমিত শাহের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন আরো অনেকে। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, ‘‘উনি তো দিল্লি থেকে উড়ে এসেছেন। পুজোর সময় অনেকে আসেন উনিও এসেছেন। কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে এসেছেন। আর এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর, বাইরে থেকে আসেননি মমতা। নিজের মাটিতে দাঁড়িয়ে আছেন।’’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথার পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মন্ডলের আরো বক্তব্য, “ও নিজে কিছু জানে না। আমাকেই বলুক, আমি ৫০-৬০ হাজার আদিবাসী এনে দেখাতে পারবো।’’ সব মিলিয়ে অমিত শাহের রাজ্য সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা যে এখন তুঙ্গে তা বলাই বাহুল্য।