
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: মুসলিম সমাজে প্রচলিত ‘তিন তালাক’ প্রথার বিরোধিতা করে প্রথম সরব হয়েছিলেন যে শায়ারা বানো, তিনি এবার যোগ দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। রবিবার তিনি বলেছেন, মুসলমান মহিলাদের জন্য বিজেপির যে প্রগতিশীল কার্যকলাপ সেগুলিই তাঁকে এই দলের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী করেছে। বিশেষত ‘তিন তালাক’ প্রথা নিষিদ্ধ করার পর বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি তিনি আরো বেশি করে অভিভূত হয়েছেন।
বছর আটত্রিশের শায়ারা বানো উত্তরাখন্ডের উধাম সিং নগর জেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা। ওই রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বংশিধর ভগৎ শনিবার তাঁকে দলের অভ্যন্তরে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। শনিবার দলে যোগদানের পর রবিবারই তা নিয়ে মুখ খুলেছেন শায়ারা বানো। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, “মুসলমান মহিলাদের উন্নতিকল্পে বিজেপির প্রগতিশীল কার্যকলাপই আমাকে দলের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। যে নিষ্ঠার সঙ্গে বিজেপি ‘তিন তালাক’ প্রথা নিষিদ্ধ করেছিল, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি এসবের প্রভাবেই আমি এই দলে যোগদান করেছি।”
এদিন বিজেপিতে যোগদানের পিছনে তাঁর উদ্দেশ্যটিও স্পষ্ট করেছেন বানো। তিনি বলেছেন এই দলের সঙ্গে কাজ করে তিনি মুসলমান সমাজে মহিলাদের অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য লড়াই করবেন এবং উচ্চশিক্ষায় তাঁদের অধিকার সুরক্ষিত করবেন। শুধু তাই নয়, বানো আরো বলেন মানুষের মাঝে বিজেপির সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যে ‘ভুল’ ধারণা প্রচলিত আছে, তা সমূলে উৎপাটনের চেষ্টাও তিনি করবেন। “সংখ্যালঘুদের প্রতি দলের সৎ অভিপ্রায়ে আমি বিশ্বাস করি। এ নিয়ে যে ভুল ধারণা প্রচলিত আছে তা ভাঙা দরকার।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুসলমান সমাজে প্রচলিত ‘তিন তালাক’ প্রথার বিরুদ্ধে প্রথম রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এই শায়ারা বানো। এ ব্যাপারে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। শোনা যায়, তার চার মাস আগেই নাকি তাঁর স্বামী স্পিড পোস্টের মাধ্যমে তাঁ সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন