

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: দুর্গাপুজো সম্বন্ধে উত্তর প্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। যোগী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মঙ্গলবার ট্যুইটারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। সরকারি গাইডলাইনকে “আনফেয়ার” বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়ে স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, যে ভাবে রামলীলায় বিধি মেনে ছাড়.দেওয়া হচ্ছে সে ভাবেই দুর্গাপুজোতে দেওয়া হোক। নাহলে উত্তরপ্রদেশের বাঙালি হিন্দুদের সঙ্গে বৈষম্য করা হবে।
গত সোমবার উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ পরিচালিত সরকার নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে বলেছে, সে রাজ্যে এবছর করোনা ভাইরাস উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে রাস্তায় প্যান্ডেল করে দুর্গাপুজো করা যাবে না। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে এও বলা হয়েছে দুর্গাপুজোর বিসর্জন বা অন্য কোনো দিন কোনো রাস্তায় শোভাযাত্রা করা যাবে না। এক কথায় দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে এবছর যোগী রাজ্যে কোনো আড়ম্বরের আয়োজন করা যাবে না। রাজ্যে বসবাসকারী হিন্দু বাঙালিদের প্রতি যোগী সরকারের পরামর্শ, কোভিডের কারণে এবার বাড়িতে বসেই পুজো উপভোগ করুন। প্রয়োজনে ছোট প্রতিমা এনে ঘরে পুজো করুন।
UP Govt’s order that Durga Puja should be done at home is unfair & even absurd. Like the allowances for Ram Lila, Durga Puja should be permitted with harsh but sensible restrictions. Otherwise it is discriminatory. Bengali Hindus in UP appeal to @myogiadityanath to review order
— Swapan Dasgupta (@swapan55) September 29, 2020
অথচ, কোভিডের কারণে রামলীলা আয়োজনে কোনো বাধা দেখে নি এই সরকার। সেক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, রামলীলা যেহেতু উত্তর প্রদেশের বহু প্রাচীন একটি উৎসব তাই এক্ষেত্রে দূরত্ব বিধি মেনে গোটা প্রক্রিয়া আয়োজন করা যেতে পারে। রামলীলা উদযাপন কমিটিগুলির উদ্দেশে যোগী সরকারের নির্দেশ, কোনও ভাবেই যেন এক জায়গায় এক সঙ্গে ১০০-র বেশি লোক না জড়ো হয়।
এ নিয়ে সোমবার থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে এই নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। আক্রমণে পিছিয়ে থাকে নি বামেরাও। বলা হয়েছে, বিজেপির কাছে বরাবরই দুর্গার চেয়ে রামের সম্মান বেশি। অর্থাৎ বিজেপি আদতে বাঙালি বিদ্বেষী।
বিষয়টি যে বাংলায় বিজেপির অবস্থানের বিরুদ্ধে যাবে, এমনটা আশঙ্কা করেই হয়তো স্বপন দাশগুপ্ত এদিন ট্যুইট করেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বাঙালির সেন্টিমেন্ট আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এমনটাই মত তাঁদের।

