লুচি- আলুর দম, নারকেল নাড়ু! বিজয়ার অনুষ্ঠানে বাঙালি ভোজ খাওয়াচ্ছে বিজেপি

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক দল গুলির তৎপরতাও বেড়ে চলেছে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের পালা মিটতেই বাংলাতেও বেজে গেছে ভোটের দামামা। এমতাবস্থায় বহিরাগত ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্য বিজেপিকে ক্রমাগত যে কটাক্ষ করে চলেছে শাসকদল, তাকে কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হল বিজেপির বিজয়া সম্মেলনীতে।
সম্প্রতি যে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে, জানা গেছে তার মহাভোজে আদ্যপান্ত ছিল বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। লুচি আলুর দম থেকে শুরু করে নারকেল নাড়ু বাঙালি খাবারেই ভরা ছিল বিজয়ার মেনু। বাদ ছিল না বাঙালির প্রিয় মিষ্টিও। সরভাজা, সরপুরিয়ায় জমে উঠেছিল শেষ পাত। ভোট উপলক্ষ্যে বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসার জন্য যতই বহিরাগত বলে কটাক্ষ করা হোক, বিজেপির এদিনের বিজয়া সম্মেলনীর মেনু দেখে একেবারেই সে কথা বলার উপায় নেই।
এদিন সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের তরফে এই বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। আর তার মেনুতেই ছিল এই বাঙালি চমক। উল্লেখ্য, শনিবারই পদ্মফুল শিবিরকে বহিরাগত বলে খোঁচা দেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, “যে কয়েকজন বাঙালি নেতা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা আছেন, তাঁদের উপরে মনে হচ্ছে না ভরসা আছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সে জন্য নেতা আমদানি করতে হচ্ছে। দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে নেতারা আসছেন।”
একুশের নির্বাচন উপলক্ষ্যে বেশ কিছু পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে রাজ্য বিজেপি। তাঁদের মধ্যে আছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধানও। এই নতুনদের কটাক্ষ করেই কাকলি ঘোষ দস্তিদার এদিন বলেন, “বাঙালির উপরে আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপি। বাঙালির মাথার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো চোখে দেখছে না বাঙালি।” কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন বিজয়া সম্মেলনীর মেনুতেও যেন সেই জবাব আরও স্পষ্ট করা হল।