শেষ দফায় নজরকাড়া বড়ঞা বিধানসভা, পক্ষ বনাম পক্ষতে তবে আপনারা কার ভরসায়?

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃ করোনা কালে শেষ দফা ভোট। একাধিক বিধি নিষেধ। তবু নিবার্চন নিয়ে মানুষের উত্তেজনায় ভাটা পড়েনি। ২৯ তারিখ শেষ দফা ভোটে ৩৫ টি আসনের মধ্যে নজর থাকবে মুর্শিদাবাদ জেলার উপর। মুসলিম অধ্যুষিত এই জেলার অন্যতম বিধানসভা কেন্দ্র বড়ঞা। এই বিধানসভায় সেয়ানে সেয়ানে টক্কর তৃণমূল, সংযুক্ত মোর্চা, বিজেপি এই তিন দলের মধ্যে। পরিস্থিতির উপর চোখ বোলালে বোঝা যায় কংগ্রেস গড় বড়ঞাতে এবার তৃণমূলের প্রতি আত্মবিশ্বাসী এক অংশের মানুষ। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর রোড শো, মোদি, অমিত শাহের বুলিতে মানুষের বিজেপির প্রতিও আকর্ষণ বেড়েছে এই এলাকায়।
এখানে এবারের বিজেপি প্রার্থী অমিয় কুমার দাস। মিশুকে মানুষ। রাজনৈতিক পটচিত্রে তাঁর প্লাস পয়েন্ট অতি জোরদার না হলেও কোনো মাইনাস পয়েন্ট নেই। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার নামে এখনও কোনো ফৌজদারী মামলা নেই। অপরদিকে কংগ্রেস প্রার্থী শিলাদিত্য হালদার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও, তাঁর নামে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা এগারোটি। সাথে বিরোধীদের অভিযোগ যে তিনি বহিরাগত।
অপরদিকে তৃণমূল প্রার্থী জীবন কৃষ্ণ সাহা পেশায় শিক্ষক। গত চার বছরে অতিরিক্ত সম্পত্তি বৃদ্ধির কারণে বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার তিনি। তবু, মমতা ব্যানার্জির স্নেহধন্য প্রার্থী হওয়ায় একটা বাড়তি অ্যাডভান্টেজ রয়েছে তার কাছে।

বিজেপি প্রার্থী অমিয় কুমার দাস পেশায় কৃষক। এই বিধানসভা এলাকায় সবচেয়ে কমবয়সী(৩৭) প্রার্থী তিনি। পেশাগত কারণে তাঁর বাড়তি সুবিধা ‘কৃষক বন্ধু বিজেপি’ এই বার্তাকে দরজায় দরজায় পৌঁছে দেওয়া। সঙ্গে অতি সাধারণ জীবনযাত্রার মালিক এই অমিয় বাবু। তৃণমূল প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ যেখানে ৩ কোটি টাকা, সেখানে বিজেপি প্রার্থী অমিয় কুমার দাসের সম্বল বলতে মাত্র ৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি। নিজস্ব জমি বাড়ি নেই, প্রাইভেট কার নেই। উদ্যমের জেট প্লেনে চেপেই এবারে বিধায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।