মমতাকে নেতাজি, তৃণমূলকে আজাদ হিন্দ ফৌজের সাথে তুলনা ব্রাত্য বসুর

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃ একুশের মহারণে বাংলায় কোমর বেঁধে নামার প্রাক্কালেই বিজেপির কপালে জুটেছে বহিরাগতর তকমা। বিরোধী শিবিরের মধ্যে তৃণমূল তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে বাম, কংগ্রেস এবং পশ্চিমবাংলার অন্যান্য দল গুলিও এই মর্মে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিকে। এবার সেই বিতর্কেই পেট্রোল ঢাললেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। এদিন দলের সুরেই বিজেপিকে ‘বহিরাগত শক্তি’ হিসেবে দাগিয়ে দিয়ে, দেশনায়ক নেতাজির সঙ্গে তুলনা টানলেন মমতা ব্যানার্জীর।
তৃণমূল ভবন থেকে শুক্রবার ব্রাত্য বসু বলেন, সুভাষচন্দ্র বোস যেভাবে রাজনীতির শিকার হয়েছেন ঠিক একইভাবে রাজনীতির শিকার হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকেও একইভাবে কোণঠাসা করা হচ্ছে। তিনি বলেন ”৩৯ সালে সেই যে সুভাষ বোস হেরে গেলেন, উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয়রা চটে গেল। আপনারা ভেবে দেখুন ১৯১৫ সালে গান্ধী এলেন। তার আগে পর্যন্ত স্বাধীনতা আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাঙালির হাতে। ১৯৩৯ সালে হারলেন সুভাষ। নানাভাবে সুভাষ বোসকে কোণঠাসা করা হল। ৪৪ সালে তাইহোকু ঘটল। ভারতের রাজনীতি থেকে চলে যেতে হয়েছিল সুভাষকে। তার হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটল ৫০ বছর পরে। মমতাকে চলে যেতে হল না। যেহেতু মমতাকে উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়নি। তবে যেমন সুভাষ বোস আলাদা দল গঠন করেছিলেন। ঠিক তেমনই মমতাকেও আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করতে হয়েছে, তার নাম তৃণমূল কংগ্রেস।
যেভাবে সুভাষ বোসকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের মাথার উপরে অন্য রাজ্য থেকে মুখ্যমন্ত্রী বসানো হবে? অন্য রাজ্য থেকে রাজনৈতিক নেতা বসানো হবে? তাঁরা বলবেন, রবীন্দ্রনাথের জন্ম বোলপুরে। আদিবাসী নেতার গলায় মালা দিয়ে বলবেন এই তো বীরসা মুণ্ডার গলায় মালা দিলাম। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার দিন ভাটপাড়ায় উল্লাস হয়েছিল।”
আর কি কি বলেন ব্রাত্য:
●আপনারা বহিরাগত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করবেন, আমাদের হাতজোড় করে থাকতে হবে। সেভাবে কি বাংলার রাজনীতি চলবে? বাংলার এতটাই দুর্দশা চলে এলো।
●৫ বার মুচলেকা দেওয়া বিনায়ক দামোদর সাভারকারের নামে আন্দামানের সেল হয়। তাঁরা এসে বলছেন বাংলা চালাবো। বাঙালিকে চালাবো!
●আমেরিকার নতুন প্রেসিন্ডেন্ট জো বাইডেন ক্যাবিনেটে বাঙালিকে রাখছেন। গত দশ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বিশ্ব বাংলা। অর্থাৎ বাংলার চোখ থেকে বিশ্বকে দেখা।
●৭ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার থাকা সত্ত্বেও বাঙালি মন্ত্রী নেই। গত ৭ বছর ধরে হাফ প্যান্ট পরা মন্ত্রীদের রেখে দেওয়া হয়েছে।