কাশ্মীরে জঙ্গি-সেনা লড়াই! শহীদ হলেন ভারতমাতার বাঙালি সন্তান

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীর সীমান্ত অঞ্চলে জঙ্গি সমস্যা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। গতবছর জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষাধিকার বিলোপ করেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি চোখে পড়ে নি। ফের জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে কাশ্মীরে প্রাণ গেল ত্রিপুরার এক বিএসএফ জওয়ানের।
জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম সুদীপ সরকার। তিনি বিএসএফের কনস্টেবল। কিছুদিন আগেই পঞ্জাব থেকে বদলি হয়ে তিনি গিয়েছিলেন শ্রীনগরে। কিন্তু সেখান থেকে আর ঘরে ফেরা হল না তাঁর। আজ সকালে সেখান থেকেই ত্রিপুরায় ফোন করে বিএসএফের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, গত কাল রাতে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন সুদীপ।
বিএসএফ সূত্রের খবর, গত কাল রাত একটা নাগাদ কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে টহলদারি দিচ্ছিলেন সুদীপ সরকার। সেই সময়েই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা লক্ষ্য করেছিল টহলদারি দলটি। বিএসএফের অন্য জওয়ানদের সঙ্গে অনুপ্রবেশ আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন সুদীপও। কিন্তু জঙ্গিরা তাঁদের দিকে নিশানা করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
গুলি লেগে গুরুতর আহত হন সুদীপ। তবে জানা গেছে, নিজের জীবন বিপন্ন করে সংঘর্ষস্থলে থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তিনি। রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে লড়াই চলেছে। বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় এক জঙ্গিও। রাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুদীপ সরকার।
জানা গেছে, নিহত বিএসএফ কর্মী সুদীপ সরকার ত্রিপুরার ধলেশ্বরের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর দাদা দীপঙ্কর সরকার জানিয়েছেন, সকালে বিএসএফ আধিকারিকেরা বাড়িতে ফোন করে ওই দুঃসংবাদ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি পঞ্জাব থেকে শ্রীনগর বদলি হয়েছিলেন সুদীপ। তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী কোচবিহারে রয়েছেন।
সুদীপ সরকারের এই মৃত্যু সংবাদে কার্যত শোকের ছায়া নেমেছে ত্রিপুরায়। শোক প্রকাশ করা হয়েছে রাজনৈতিক মহলের তরফেও। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব টুইট করে বলেছেন, ‘‘বীর যোদ্ধা সুদীপ সরকার আমাদের রাজ্য ও দেশের গর্ব। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি শহিদ হয়েছেন। তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি। বীর সন্তানের মা ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ আগামিকাল দুপুরে সুদীপের মৃতদেহ আগরতলায় আনা হবে বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে।