বাবা ড্রাইভার, দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে IIT-তে চান্স পেল মেয়ে! কুর্নিশ শিক্ষকদের

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। মনের জোর আর অদম্য চেষ্টায় জয় করা যায় সব কিছুই। অন্ধ্রপ্রদেশের তরুণীর গল্প আরো একবার প্রমাণ করেছে সেই কথাই।
কে. স্বাতী অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁচরাপালেম এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবা পেশায় একজন ক্যাব ড্রাইভার। দারিদ্র্যকে জয় করে সেই ক্যাব ড্রাইভারের মেয়ে কে. স্বাতী আজ আইআইটির ছাত্রী। সম্প্রতি আইআইটি পাটনায় সুযোগ পেয়েছে সে, আর সেই সঙ্গে উজ্জ্বল করেছে গোটা গ্রামের মুখ।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, কে স্বাতীর প্রতিভায় তাঁর বাবা মা সহ স্কুলের সকলেরও গর্বে বুক ফুলে গেছে, তাঁর স্কুল থেকে আইআইটিতে যাওয়া ছাত্রী হিসেবে কে স্বাতীই প্রথম। কিন্তু সহজে আসে নি এই সাফল্য। তাঁর জীবনের এযাবৎ সংগ্রামকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই।
জানা গেছে, স্বাতীর বাবা রামু আগে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। কিন্তু শত কষ্ট শত অভাব সত্ত্বেও সন্তানদের পড়াশোনার সঙ্গে কখনো আপোষ করেননি তিনি। একসময় তিনি অটোও চালিয়েছিলেন। আরো পরে কাঁচরাপালেম গিয়ে ক্যাব চালাতে শুরু করেন।
স্কুলে স্বাতীর প্রতিভা চাপা থাকে নি। বরাবর আইআইটি যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই পড়াশোনা করেছেন তিনি। প্রতিভার জন্য পেয়েছিলেন সকলের ভালোবাসাও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষ যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন তাঁকে। প্রধান শিক্ষক রাজা বাবুর কথায়, “স্বাতী বরাবরই আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করেছে, স্কুলে হোক কিংবা কলেজে।”প্রধান শিক্ষক স্বাতীর আইআইটির খরচ হিসেবে ১ লক্ষ টাকাও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিজের সাফল্যে খুশি স্বাতীও। স্বপ্ন পূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পর এখন তাঁর লক্ষ্য আইএএস (IAS) অফিসার। “আমার মা বাবা আর স্কুল শিক্ষক, যারা আমার উপর এতখানি ভরসা করেছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানানোয় একটাই উপায় আছে। তা হল আইএএস অফিসার হয়ে দেখানো”, বলেন স্বাতী।