চণ্ডীগড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, ফের কাঠগড়ায় পুলিশ

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক:ফের বিতর্কের মুখে দেশের পুলিশ প্রশাসন। এবার কংগ্রেসের এক প্রতিবাদ মিছিলে জলকামান ব্যবহার করে বিতর্কে জড়ালো পুলিশ। হাথরাস কান্ডে পুলিশের ভূমিকা এবং ক্ষমতাসীন সরকারের আচরণের প্রতিবাদে চণ্ডীগড়ে কংগ্রেসের একটি মিছিল বেরোয়। সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উত্তর প্রদেশের হাথরাসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর কারণে সারা দেশ জুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ। শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশেই নয়, দেশের নানা প্রান্তে এই ঘটনার প্রতিবাদে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিরোধী দলগুলি। বাম কংগ্রেস তৃণমূল প্রভৃতি সকলেই একজোটে রুখে দাঁড়িয়েছে উত্তর প্রদেশ তথা সারা ভারতের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই চণ্ডীগড়েও এদিন উত্তর প্রদেশ পুলিশ ও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আহ্বান করা হয়। কিন্তু ওই মিছিল কঠোর হাতে দমন করে চণ্ডীগড় পুলিশ। জানা যাচ্ছে, চণ্ডীগড়ের সেক্টর ৩৪ এলাকায় কংগ্রেসের মিছিলের উপর পুলিশের এই আক্রমণ হয়েছে।
বস্তুত, উত্তর প্রদেশের হাথরাসে দলিত তরুণীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংস গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে যে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে, এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের আচরণ তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। প্রথম থেকেই এই ঘটনায় যোগী রাজ্যের পুলিশ কাঠগড়ায় ওঠে একাধিক কারণে। তরুণীর মৃত্যুর পর পরিবারের সম্মতি ছাড়াই রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ দাহ করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, অসহায় দলিত পরিবারটির উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করেছে তারা। জোর করে তরুণীর বাবাকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে যোগী রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা হাথরাসে ওই পরিবারের কাছে যেতে চাইলে সকাল থেকেই আটকানো হয় তাঁদের। শোনা গেছে, ওই পরিবারকে পুলিশ কার্যত গৃহবন্দী করে রেখেছে।এহেন পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশের নানা প্রান্তে গড়ে উঠেছে প্রতিবাদ। চণ্ডীগড়ে তাকেও দমন করা হল। জলকামান দিয়ে দেশবাসীর মুখ বন্ধ করা যাবে তো? উঠছে প্রশ্ন।