“আমরা গিনিপিগ নই”, চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ব্রাজিল জুড়ে

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: জোর করে চীনের করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে ব্রাজিলে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগে এবার পথে নামলেন সে দেশের অধিবাসীরা। করোনার প্রতিষেধক যে টিকা চীন তৈরি করেছে তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগেও অস্বীকার করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি চীনের তৈরি করা এই টিকা কতটা সুরক্ষিত? সেই প্রশ্নও তুলেছেন ব্রাজিলবাসীরা।
বস্তুত, গত জুলাই মাস থেকেই ব্রাজিলে নিজেদের তৈরি টিকার পরীক্ষা চালাচ্ছে চীন। চীনের প্রথম সারির ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা সিনোভ্যাকের তরফ থেকে এই ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। জানা গেছে, সাও পাওলোর বুটানটান ইন্সটিটিউটের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে টিকার ডোজ দিয়েছে সিনোভ্যাক। বর্তমানে চীনা টিকার তৃতীয় পর্বের বৃহত্তর ট্রায়াল চলছে ব্রাজিলে।
চীনের তৈরি এই টিকা কতটা সুরক্ষিত সেই বিষয়ে সন্দিহান হয়ে উঠেছেন ব্রাজিলের মানুষ। কেন তাঁদের উপরে এই টিকার পরীক্ষামূলক ট্রায়াল চালানো হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। রবিবার সন্ধে থেকেই এই চীনা ট্রায়ালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন ব্রাজিলীয় জনতা। সাও পাওলোর রাস্তায় নেমে তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সাও পাওলোর গভর্নর জোয়াও ডোরিয়ার অপসারণের দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে বুটানটান ইন্সটিটিউটের প্রধান ডিমাস কোভাস জানিয়েছেন, সিনোভ্যাকের বানানো টিকার নাম করোনাভ্যাক। এ পর্যন্ত ভালো ফল দেখা গেছে এই টিকার ট্রায়ালে। স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এই টিকার প্রভাব আশানুরূপ হয়েছে।দেশের মোট ছটি রাজ্যে এখান এই টিকার ট্রায়াল চলছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্রাজিলের সাধারণ মানুষের অভিযোগ, জোর করে চীনের এই টিকা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সাও পাওলোর গভর্নরের মদতেই যে এই কাজ করা হচ্ছে সে কথাও জানিয়েছেন জনগণ।
বিশ্ব জুড়ে করোনার মারন ভাইরাস ছড়িয়েছিল চীন থেকেই। ইতিমধ্যে রাশিয়া থেকে করোনা ভাইরাসের প্রথম সফল টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছে। আর কোনো দেশের তৈরি টিকাই এখনও চূড়ান্ত সাফল্য পায় নি। ব্রাজিলের জনগণ চীনা টিকা প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা গিনিপিগ নই। আমাদের এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”