
কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ১৯ বছর বয়সী দলিত কিশোরীর গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রতিবাদে আজ সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয় কংগ্রেস। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী আজ যখন হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ডে ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাকে ও প্রিয়াঙ্কা ভডঢ়াকে আটকায়। গ্রেটার নয়ডার কাছে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার কনভয় আটকানো হলে তারা গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে হাথরসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জওহর টোলপ্লাজার কাছে হঠাৎ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ রাহুল গান্ধীর কলার ধরে টেনে তাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় তারপর আটক করা হয় তাকে। বিরোধীদের অভিযোগ হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের কাছে যাতে কেউ পৌঁছাতে না পারে তার জন্য এই সুচারু বন্দোবস্ত করেছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন।
এই ঘটনার পর আজ সন্ধ্যাবেলায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক কংগ্রেস কর্মী রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরের দিকে মিছিল করে এগিয়ে যেতে থাকলে সেন্ট্রাল এভিনিউর উপর কলকাতা পুলিশ তাদের পথ আটকায়। সেখানেই আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ ধরনায় বসে পড়ে। জায়গাটা মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি সদর দপ্তরের খুবই কাছে হওয়ায় প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ফলে গোটা মধ্য কলকাতা জুড়ে এক প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়।
কংগ্রেসের আরেকটি মিছিল পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টের দিকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করে। এর ফলে পার্ক সারকাস, পার্কস্ট্রিট সহ সমগ্র মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতাতেও প্রবন যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ অবস্থান-বিক্ষোভ সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এছাড়াও উত্তর কলকাতাতেও কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছিল বলে জানান কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর ভট্টাচার্য।
সন্ধ্যের এই ব্যস্ত সময়ে রাস্তা আটকে অবস্থান-বিক্ষোভের ফলে অফিস ফেরতা সাধারণ মানুষ প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কারণ করোনা পরবর্তী পর্যায়ে এখনো পর্যন্ত ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। যদিও কংগ্রেসের দাবি এরকম একটা বড় ঘটনা পর প্রতিবাদ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। তাতে একদিনের সাময়িক দুর্ভোগ মানুষ গায়ে মাখবেনা।