
তামিলনাড়ু: আজকের দিনেও ভারতবর্ষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে জাতপাত, বর্ণভেদ প্রথা কত গভীর ভাবে মিশে আছে, তাই আরো একবার প্রমাণিত হল তামিলনাড়ুর এই ঘটনায়। জানা গেছে বিবাদের সময় তফসিলি জাতিভুক্ত এক ব্যক্তিকে জোর করে পায়ে ধরতে বাধ্য করে কিছু তথাকথিত উচ্চ বর্ণের মানুষ। মোট সাত জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে খবর।
তামিলনাড়ুর কায়াথার তালুকের ওলাইকুলাম অঞ্চলের ওই তফসিলি জাতিভুক্ত ব্যক্তির নাম পৌলরাজ।গত বৃহস্পতিবার, ৮ই অক্টোবর তিনি তাঁর ৯০টি ভেড়া এবং ১০টি ছাগল মাঠে চড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন। একই সঙ্গে ওই মাঠে ওই গ্রামেরই সিভাসাঙ্গু নামের এক উচুঁ জাতের বর্ণহিন্দু ব্যক্তিও তাঁর ভেড়া ও ছাগলের পাল নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই সময় পৌলরাজের পালের একটি ভেড়া হঠাৎ সিভাসাঙ্গুর পালের সঙ্গে মিশে যায়। পৌলরাজ তা ফেরত আনতে গেলেই শুরু হয় বিবাদ।
পৌলরাজ বলেছেন, “সিভাসাঙ্গু তখন রেগে গিয়ে আমায় জাত তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।” শুধু তাই নয়, সিভাসাঙ্গু তাঁকে মারতেও উদ্যত হয় বলে অভিযোগ করেছেন পৌলরাজ। শোনা যাচ্ছে, এরপর নাকি সিভাসাঙ্গু গ্রামে ফিরে গিয়ে পৌলরাজের বিরুদ্ধে লোক জড়ো করেন। “ওঁরা এসে আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।” পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানায় পৌলরাজ।
এছাড়া পৌলরাজের অভিযোগ, তাঁকে একাধিক বার সিভাসাঙ্গুর পায়ে ধরে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এইসময় মহেন্দ্রন এবং মহারাজন নামের দুই ব্যক্তি সেই দৃশ্যের ভিডিও রেকর্ডিং করেছে বলে অভিযোগ করেন পৌলরাজ। ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হলে অপমানে জর্জরিত পৌলরাজ পুলিশের দ্বারস্থ হন বলে সূত্রের খবর।
“আমি আইন অনুযায়ী ওঁদের বিরুদ্ধে কঠোর, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছি”, বলেন বছর ষাটের পৌলরাজ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সিভাসাঙ্গু সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সোমবার মামলা দায়ের করেছে