হাথরাস উত্তেজনার মাঝেই এবার বিহার, গণধর্ষণের পর আত্মহত্যা করল দলিত তরুণী

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক:উত্তর প্রদেশের হাথরাসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ কান্ড নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই ফের সামনে এল আরো এক গণধর্ষণের ঘটনা। স্থান এবার বিহার। আর নির্যাতিতা এবারেও দলিত। শুক্রবার বিহারের গয়া জেলার এক দলিত তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনা সামনে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার জন ব্যক্তির উপর ওই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ওই তরুণীর মা বাবা পুলিশের কাছে চার অভিযুক্তের মধ্যে তিন জনের নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। জানা যাচ্ছে, ওই তিন জনের নাম চিন্টু কুমার, রাহুল কুমার এবং চন্দন কুমার। চতুর্থ অভিযুক্তকে এখনও সনাক্ত করা যায় নি, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মৃত তরুণীর দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে গয়ার মেডিক্যাল কলেজে, সেই রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ।
বলা বাহুল্য, এই ঘটনাটিকে উত্তর প্রদেশের হাথরাসের ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্যযুক্ত বলে মনে হচ্ছে। কারণ দুই ক্ষেত্রেই নির্যাতিতা দলিত কিশোরী। এবং ধর্ষক তথাকথিত উচ্চ বর্ণের পুরুষ। দলিতদের উপর উচ্চ বর্ণের মানুষের অত্যাচারের আরো এক নিদর্শন হয়ে দাঁড়াল বিহারের এই ঘটনা। ধর্ষণ পরবর্তী গ্লানি কেড়ে নিল আরও এক নির্যাতিতার প্রাণ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাথরাস গ্রামের এক দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে চার জন উচ্চ বর্ণের ব্যক্তি দ্বারা। টানা ১৫ দিন লড়াই করার পর মঙ্গলবার সকালে অবশেষে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। এই খবর সামনে আসতেই সারা দেশে জ্বলে ওঠে ক্ষোভের আগুন। এছাড়া, এই ঘটনায় ক্ষমতাসীন সরকার এবং পুলিশের আচরণেও অসন্তোষ সৃষ্টি হয় গোটা দেশ জুড়ে। দেশের নানা প্রান্তে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ গড়ে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন আবার সামনে এল বিহারের দলিত তরুণীর ধর্ষণের ঘটনা। এর শেষ কোথায়? প্রশ্ন উঠছে।