
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক বাদানুবাদে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার পরিস্থিতি। একদিকে যেমন লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যকে হাতিয়ার করে মসনদ দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি, অন্যদিকে তেমনই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূলও। এমতাবস্থায় এদিন একাধিক প্রসঙ্গে শাসকদলকে ফের একহাত নিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
এদিন মালদহের এক সভা থেকে কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনিতেই বিশেষ রাখঢাক না করে খোলামেলা ভাষাতেই কথা বলে থাকেন তিনি। এদিনও তার অন্যথা করেননি। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পায়খানা বানানোর জন্য যে টাকা পাঠানো হচ্ছে তা থেকেও কাটমানি নিচ্ছে রাজ্য সরকার, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “কেন্দ্র ১০ হাজার টাকা পাঠাচ্ছে পায়খানা বানানোর জন্য, সেখান থেকেও ১ হাজার টাকা নিয়ে নিচ্ছে কাটমানি। আজকের দিনে সিমেন্টের দাম বেড়েছে, লোহার রডের দাম বেড়েছে। ১ হাজার টাকা কেটে নিলে কি হবে?”
এখানেই শেষ নয়, বিষয়টি আরো খোলসা করে বলেন তিনি। তাঁর কথায়, “নিয়ম হচ্ছে কেন্দ্র ১০ হাজার টাকা দেবে, রাজ্য দেবে ৩ হাজার টাকা। রাজ্য কোনো টাকা দিচ্ছে না, তার উপর ১০ হাজার টাকা থেকে কাটমানি নেওয়া হচ্ছে।” সরকারি উদ্যোগে বানানো পায়খানার আকার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “পায়খানা হওয়ার কথা ছিল এত বড়, হয়েছে এইটুকু। আমাদের মঞ্চে শ্যাম দা বসে আছেন, এই চেহারা নিয়ে ঢুকতে পারবেন?”
এরপর শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চেহারা নিয়েও বিজেপির রাজ্য সভাপতির তরফ থেকে ভেসে আসে কটাক্ষ। “শিক্ষামন্ত্রীকে যদি কোলে করে ওই বাথরুমে নিয়ে যেতে হয়, ঢুকতে পারবেন? আর যদি ঠেলেঠুলে ঢুকেও যান, বার করতে গেলে দেওয়াল ভাঙতে হবে।” মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, “পায়খানার টাকাও খেয়েছে, আবাস যোজনার টাকাও খাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন ভোটের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন উদ্যোগ ‘দুয়ারে সরকার’ নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এখন আর উন্নয়ন শুয়েও নেই, বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেছে। কেন্দ্রের পাঠানো চাল লুঠ করে নিল, আমফানের টাকা লুঠ করে নিল, এখন তারা বাড়ি বাড়ি লুঠ করতে যাচ্ছে।”