“পাগড়ির বদলে গোল টুপি থাকলে পুলিশ খুলতে পারত না”, পিস্তলধারীকে নিয়ে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত ব্যক্তির উপর পুলিশি আচরণের নিন্দা করে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন একজন শিখ হওয়া সত্ত্বেও ধৃত ব্যক্তির পাগড়ি টেনে খুলে পুলিশ অসম্মান করেছে শিখ ধর্মকে। তিনি আরো বলেন, ওই ব্যক্তির মাথায় যদি গোলাকৃতির টুপি পড়া থাকত, তাহলে হয়তো পুলিশ এটা করতে পারত না।
বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার নেতৃত্বে আয়োজিত নবান্ন অভিযানে শহর জুড়ে দেখা দিয়েছিল চরম বিশৃঙ্খলা। জায়গায় জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী ও নেতৃবৃন্দের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল একাধিক রাজপথ। ওই দিন হাওড়া ময়দানের কাছে বিজেপির এক ব্যক্তির কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বলবিন্দর সিং। তাঁকে ধরতে গিয়ে পুলিস পাগড়িতে টান দিয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গেছে ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা প্রিয়াংশু পাণ্ডের নিরাপত্তারক্ষী বলবিন্দর সিং। তারপর থেকেই একজন শিখের সঙ্গে পুলিশের এই আচরণকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
এ বিষয়ে শনিবার বর্ধমানে সাংবাদিকদের সামনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বলবিন্দার সিংকে পুলিস কেস দিয়েছে। শুধু তাই নয় একজন শিখ হওয়া সত্বেও তার পাগড়ি খুলে অসম্মান করেছে। নিগ্রহ করেছে। গোল টুপি মাথায় থাকলে এটা পারত না। হাওড়ায় লাথি খেয়েও পুলিস কিছু করেনি। নবান্ন অভিযানে বিজেপি কর্মীরা মার খেয়েছেন, লাঠি খেয়েছেন। উল্টে তাদের মামলা দেওয়া হয়েছে”।
তাঁদের মিছিলে পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়ে তাঁর আরও বক্তব্য, “রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই চলছে। টি এম সি যতখুশি কর্মসূচি করছে। শুধু বিজেপি করলেই বাধা আসছে।”
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবের বাসিন্দা বলবিন্দর সিংহের পাগড়ি খুলে দেওয়া নিয়ে গতকালই সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য হরভজন সিং। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে ট্যুইটও করেন তিনি। আজ তাই নিয়েই মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে উদ্ধারকৃত পিস্তল সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন যে সেটির লাইসেন্স আছে।