“ভোটে হেরে গেলে দেশ ছেড়ে চলে যাবো”, বেফাঁস মন্তব্য ট্রাম্পের

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: নির্বাচনে হেরে গেলে দেশ ত্যাগ করতে হতে পারে ট্রাম্পকে, এমনটাই মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বক্তব্য নির্বাচনে বিপক্ষ প্রার্থী জয়ী হলে দেশে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তাতে হয়তো তিনি সেখানে থাকতে পারবেন না।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তেজনার পারদ চড়ছে দুই শিবিরে। একের পর এক বেলাগাম মন্তব্য করে একে অপরকে আক্রমণ করে চলেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। সম্প্রতি করোনা মুক্ত হয়ে ফের প্রচারে ফিরেছেন ট্রাম্প। আর ফিরেই স্বভাবসুলভ আক্রমণ শুরু করেছেন বিপক্ষের প্রতি। ফ্লোরিডা এবং জর্জিয়ায় প্রচারকালে এদিন তিনি বলেন, বিপক্ষ প্রতিনিধি জো বাইডেন নির্বাচন জিতলে দেশে ‘উগ্র সাম্যবাদ’ এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপের বন্যা বইবে।
ট্রাম্প জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে তার সর্বশেষ নির্বাচনী জনসভায় জো বাইডেনকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রার্থীর মোকাবিলায় আমি তীব্র চাপের মুখে রয়েছি এবং এই নির্বাচনে আমি যদি হেরে যাই তাহলে বলতে হবে আমি আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রার্থীর কাছে হেরে গেছি।’
এখানেই থেমে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর আরো বক্তব্য, ‘আপনারা ভাবতে পারছেন হেরে গেলে কী হবে? হেরে গেলে আমার মধ্যে অনেক বাজে অনুভূতি তৈরি হবে। তখন হয়তো আমাকে আমেরিকা ত্যাগ করতে হবে।’
বস্তুত, মার্কিন মুলুকে সমীক্ষা অনুযায়ী ট্রাম্পের অবস্থান খুব একটা সুবিধাজনক নয়। মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএন পরিচালিত সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, আগামী মাসের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন শতকরা ৫৪ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে এ নির্বাচনে ৪৩ শতাংশ ভোট পেতে যাচ্ছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। জরিপে অংশগ্রহণকারী মার্কিন নাগরিকদের বেশিরভাগ ট্রাম্পকে ‘অযোগ্য’ এবং বাইডেনকে ‘সৎ’প্রার্থী বলে উল্লেখ করেছেন।আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে তার আগে ইতিমধ্যে প্রায় ২ কোটির বেশি ভোটদাতা ডাকযোগে বা স্বশরীরে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আগাম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।