আমিষ খেলে জীবনে হাসি-খুশি থাকা যায়, নিরামিষ খেলে ডিপ্রেসড, বলছে সমীক্ষা

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: জাতি ধর্ম ভাষা পোশাক ইত্যাদি বাকি সব কিছুর মতো খাবারের জগতেও মানুষের অভ্যাসের তারতম্যটা বরাবরই ছিল চোখে পড়ার মতো। খাদ্যাভাসের ভিত্তিতে মানুষ মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। একদল খাবারের পাতে মাছ, মাংস কিংবা ডিমেই খুঁজে পান স্বর্গ।আবার আমিষ খাদ্যে চির অনীহা নিয়ে বেঁচে থাকেন অন্য আরেক দল মানুষ।আমিষাশী এবং নিরামিষাশীদের এই দ্বন্দ্ব চিরকালীন।
আমিষ নিরামিষের এই চিরকালীন দ্বন্দ্বে কিন্তু কেউই নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও সরতে রাজি নন। সুযোগ পেলেই তাঁরা একে অপরকে ভালো করে জানিয়ে দেন নিজেদের খাদ্যাভ্যাসের মহত্ত্ব। তবে, সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য কিন্তু খানিক অস্বস্তিতে ফেলবে নিরামিষাশীদের।
ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামার সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস আদতে ক্ষতি করে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের। নিরামিষ ভোজন বাড়িয়ে দেয় মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা। জানা গেছে, প্রায় ১৮টি সমীক্ষা ঘেঁটে, ১লক্ষ ৬০ হাজার ২৫৭ জন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য এবং খাদ্যাভ্যাসের তুলনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামার ওই সমীক্ষা। ফলে এই তথ্য যে নিতান্ত অবহেলার যোগ্য নয় তা বলাই বাহুল্য।
ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যাঁরা নিরামিষ খাবার খান তাঁদের মধ্যে মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ এমনকি নিজের ক্ষতি করে ফেলার সম্ভাবনা অত্যধিক মাত্রায় বেশি। শুধু তাই নয়, সমীক্ষা অনুযায়ী মাংস না খাওয়াটা এক প্রকার মানসিক অবসাদের লক্ষণ। অবশ্য, ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামার সমীক্ষকরা এও জানিয়েছেন এ বিষয়ে এখনও আরো অনেক গবেষণার প্রয়োজন আছে। সমীক্ষার এই ফলাফল এখনও রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে।
ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামার তরফ থেকে এ বিষয়ে ডক্টর এডোয়ার্ড আর্কার বলেছেন, “নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসের সুফল এবং কুফল নিয়ে বহু বছর ধরেই বিতর্ক চলছে। আমাদের সমীক্ষা বলছে মাংশাসীদের মানসিক স্বাস্থ্য তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই ভালো।” তিনি আরো বলেছেন, “একটা ‘স্বাস্থ্যকর ডায়েট’-এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে এই তথ্য উঠে এসেছে। মানসিক স্বাস্থ্যও একটা বড় ভূমিকা গ্রহণ করে।”
বলা বাহুল্য, এই সমীক্ষা সামনে আসতেই আমিষ নিরামিষের দ্বন্দ্বে যেন আলাদা মাত্রা যোগ হয়েছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, মানসিক অবসাদ কাটাতে এবার থেকে মাংস খাওয়া চালু করুক নিরামিষাশীরা।