‘চুপ থাকার জন্য জোর করা হচ্ছে’ নির্যাতিতার পরিবারকে! পুলিশ জানায় ধর্ষণের গুজব ছড়ানো হচ্ছে

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: হাথরাসের দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনা এবার নয়া মোড় নিল। ওই তরুণীর ধর্ষণই হয় নি, ধর্ষণের গুজব ছড়িয়েছে মাত্র, এদিন এমনটাই দাবি করল যোগী রাজ্যের পুলিশ। উত্তর প্রদেশের পুলিশের এডিজি ল অ্যন্ড অর্ডার প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, নির্যাতিতার শরীরে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ নেই। তবে হাথরাসের নির্যাতিতাকে কে বা কারা নৃশংসভাবে খুন করেছে তার তদন্ত করা হচ্ছে। নির্যাতিতার পরিবারের বয়ানে জানা যায় তার বাবা ও বাড়ির সদস্যদের চুপ থাকতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বস্তুত, এদিন হাথরাসের নির্যাতিতা ওই দলিত তরুণীর ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেশ করেন চিকিৎসকরা। তাতেও ধর্ষণের কোনো উল্লেখ করা হয় নি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ওই তরুণীকে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। যে বা যারা এই ঘটনাকে অকারণে ধর্ষণের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তোলার চেষ্টা করছে, এদিন তাদেরকেও পুলিশের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। অকারণে উত্তেজনার সৃষ্টি করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে এদিন স্পষ্ট করা হয় যে ডিএম এর পক্ষ থেকে তাদের চুপ করানো হচ্ছে যাতে সত্য সামনে না আসে।
প্রসঙ্গত, হাথরাস গ্রামের উনিশ বছর বয়সী দলিত তরুণী মনীষা বাল্মীকির মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর প্রথম থেকেই বেকায়দায় ছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ প্রশাসন। চার জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও প্রশাসনের আচরণ নিয়ে উঠতে থাকে একাধিক প্রশ্ন। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির হাসপাতালে নির্যাতিতা তরুণীর মৃত্যুর পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে তড়িঘড়ি সেদিনই গভীর রাতে চুপিসারে তা পুড়িয়ে ফেলে পুলিশ। এরপর ওই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ হাথরাসে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এমনকি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে খবর। এই প্রেক্ষাপটেই আজ সামনে আসে নির্যাতিতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট। সেখানে জানানো হয় শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এরপরই পুলিশের তরফ থেকে বয়ান দিয়ে জানানো হয় এই ঘটনায় অযথা ধর্ষণের ‘গুজব’ রটেছে। ওই তরুণীর সঙ্গে আদতে ধর্ষণ হয় নি।