প্রত্যেক ভারতীয়ের ভ্যাকসিন পেতে লাগবে ৪ বছর, জানালেন সিরাম ইন্সটিটিউটের অধিকর্তা

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: প্রায় বছর খানেক আগে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম খোঁজ মিলেছিল করোনা ভাইরাসের। তারপর থেকে এখনও অবধি গোটা বিশ্ব জুড়ে সমানতালে ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে মারণ ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন করোনা ভাইরাসের প্রকোপে। উপযুক্ত টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে ঝাঁপিয়েছে একাধিক দেশ, চলছে ট্রায়াল। অবশেষে ভারতে করোনা টিকা বন্টন বিষয়ে আশার কথা শোনালো সিরাম ইন্সটিটিউট।
আগামী বছরের শুরুতেই ভারতে প্রবীণ নাগরিক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য মিলবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন, এমনটাই জানানো হয়েছে পুণের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইন্সটিটিউটের তরফ থেকে। সেই সঙ্গে এপ্রিল মাসের মধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্যেও বাজারে ভ্যাকসিন মিলবে বলে জানিয়েছেন সিরামের অধিকর্তা আদার পুনাওয়ালা।
পুণের ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদার পুনাওয়ালার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রতিটি ভারতবাসীর করোনা ভ্যাকসিন পেতে সম্ভবত ২ থেকে ৩ বছর সময় লেগে যাবে। উপযুক্ত পরিকাঠামো গঠন, সু-বণ্টন ব্যবস্থা তৈরি, ভ্যাকসিনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়, প্রভৃতির জন্যই এত সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মোটামুটি ২০২৪ সালের মধ্যে প্রত্যেক ভারতীয় ভ্যাকসিনের দু’টি করে ডোজ পেয়ে যাবেন বলে আশা সিরাম অধিকর্তা আদার পুনওয়ালার।
ভারতের বাজারে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানো কোভিশিল্ড সম্ভবত ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পৌঁছে যাবে, এমনটাই মত সিরাম ইন্সটিটিউটের সিইওর। তিনি জানিয়েছেন এই ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ দু’টো ডোজের দাম হবে প্রায় এক হাজার টাকার কাছাকাছি। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রবীণদের ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও সমস্ত ভারতীয়কে স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন পুনওয়ালা।
জানা গেছে, অক্সফোর্ড নির্মিত ভ্যাকসিন বন্টনের ক্ষেত্রে ভারতের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হবে আফ্রিকার দেশগুলিকেও। তবে নির্ভর করছে চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালের সাফল্য ও ভ্যাকসিন তৈরির জন্য সরকারের ছাড়পত্রের ওপর। এখনও পর্যন্ত ট্রায়ালের পর্যায়েই রয়েছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে রাশিয়া সফল ভাবে ভ্যাকসিন তৈরির ঘোষণা করে ফেলেছে। অক্সফোর্ড ছাড়াও ভ্যাকসিন তৈরিতে সাফল্যের দৌড়ে আছে চীনও।