
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফর নিয়ে এখন সরগরম রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। দুদিনের এই রাজ্য সফরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজ সারবেন দুই আদিবাসী ও মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে।ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শাসকদল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়ে গেছে পরোক্ষ দ্বন্দ্ব। জানা গেছে, এর আগে অমিত শাহ শিলিগুড়ি সফরে যাঁর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন, এবার তাঁকে চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
বস্তুত, রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শেষবারের সফরে তিনি শিলিগুড়িতে এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন। কিন্তু রাজু মাহালি এবং গীতা মাহালির বাড়িতে ওই ভোজনের পর সাময়িক খ্যাতি মিললেও তারপরে আর বিশেষ কোনো উন্নতি হয় নি ওই আদিবাসী দম্পতির। তাঁদের কথায়, “খাওয়া দাওয়ার পর বিজেপির আর দেখাই পাওয়া যায় নি।”
আজ দুদিনের সফরের প্রথম দিনে বাঁকুড়ার এক আদিবাসী বাড়িতে যখন দুপুরের খাবার খাচ্ছেন অমিত শাহ, তখনই শিলিগুড়ির সেই আদিবাসী মহিলা গীতা মাহালিকে চাকরি দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, আজ নকশালবাড়ি থানায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গীতা মাহালির হাতে সরকারের তরফে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।
চাকরি পেয়ে স্বভাবতই আপ্লুত গীতা মাহালি। রাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “সরকার আদিবাসীদের পাশেই আছে । এই গীতা মাহালিও আমাদের সঙ্গেই আছেন । এর আগে বিজেপি এদের কাছে টানার চেষ্টা করলেও পরে আর খোঁজ রাখেনি । মুখ্যমন্ত্রী গীতা মাহালিকে চাকরি দিল।”
বস্তুত, অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফরে আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের বিষয়টি যেন ক্রমশ রীতিতে পরিণত হয়েছে। আবার গতকালই মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদের জন্যে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসী আবেগকে কাজে লাগিয়ে ভোট ব্যাঙ্কে চমক লাগানোর চেষ্টা এর আগে লোকসভা নির্বাচনেও লক্ষ করা গিয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে বিজেপিকে পাল্লা দিতেই কি মতুয়া, আদিবাসীদের দিকে আবার ঝুঁকছে তৃণমূল? শুরু হয়েছে জল্পনা।