“চিনের হস্তক্ষেপেই ফের বিশেষ মর্যাদা ফিরে পাবে কাশ্মীর”, বিতর্কিত মন্তব্য ফারুখ আবদুল্লার

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ সাধন করা হয়েছিল গত বছরের আগস্ট মাসে। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার বিলুপ্ত হয়। এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ। তাঁর দাবি, চিনের হস্তক্ষেপে জম্মু-কাশ্মীর আবার তার বিশেষ মর্যাদা ফিরে পেতে পারে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা। রবিবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারুখ দাবি করেন, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ প্রতিবেশী চিন কখনোই মেনে নেয়নি। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সীমান্তে চিনের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সংঘটিত হচ্ছে বলে মত তাঁর। তিনি বলেছেন, “এলএসি-তে চিন যা করছে তা সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের জন্যই। আমার আশা চিনের হস্তক্ষেপেই ওই বিশেষ মর্যাদা পুনর্বহাল হবে।’’ বলা বাহুল্য, চিনকে জড়িয়ে তাঁর এই বেফাঁস মন্তব্যকে ভালো চোখে দেখছেন না অনেকেই।
চিনকে জড়িয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও তোপ দাগেন ফারুখ আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি চিনা প্রেসিডেন্টকে কখনও আমন্ত্রণ জানাইনি। মোদী শুধু আমন্ত্রণই জানাননি তাঁকে চেন্নাই নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে খাওয়া দাওয়াও করেছেন।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মাধ্যমে জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের ক্ষেত্রে এযাবৎ যে বিশেষ মর্যাদা প্রযুক্ত হয়ে আসত, তা বিলুপ্ত হয়। এমনকি, জম্মু কাশ্মীরে্য পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতিও এর মাধ্যমে বাতিল করেছিল মোদী সরকার। এরপর ওই রাজ্যে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, তার জেরে ফারুখ এবং তাঁর ছেলে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইনে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। প্রায় সাত মাস ওভাবে বন্দী থাকার পর গত মার্চে মুক্তি পান তাঁরা। চিনকে কেন্দ্র করে ভারতীয় রাজনীতিতে সৃষ্ট সাম্প্রতিক অস্বস্তির সুযোগ নিয়েই আজকের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ফারুখ আবদুল্লাহ।