
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহে ক্লাবগুলোকে পুজোর নির্দেশ দেওয়া হলেও সেই নিয়ে জলঘোলা ক্রমবর্ধমান। বিতর্কের মুখে রাজ্য সরকারের দুর্গাপুজোর আর্থিক অনুদান পর্ব। করোনার জন্য পুজো কমিটিগুলোর অর্থের সংকট ঘোচাতেই তাঁদের জন্য ৫০,০০০ টাকা করে অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু গত কয়েকদিনে প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপ।
ममता जी ने कहा था कि वे दुर्गापूजा पंडाल के लिए कमेटियों को 50-50 हजार रुपये दे रही हैं।
मगर हाई कोर्ट में उनकी सरकार बोल रही है कि मास्क-सैनिटाइजर खरीदने के लिए रुपये दिए गये।
कमेटियों को हिसाब देना होगा।
ममता ने वोट के लालच में हिंदुओं की भावना से खिलवाड़ किया, माफी माँगें वो। pic.twitter.com/opb1gQuNj1— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) October 16, 2020
পুজো কমিটিগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান ও পুরোহিত ভাতা দেওয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা সিটু দাস। সেই মামলাতেই প্রশ্ন উঠেছিল অনুদানের অর্থ কোথায় ব্যায় করা হবে সেই নিয়ে। মামলার শুনানিতে আজ কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, পুজো কর্মকর্তারা নিজেদের ক্লাবের বিনোদনমূলক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য এই টাকা খরচ করতে পারবেন না। ৫০,০০০ টাকার ৭৫% খরচ করতে হবে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার কিনতে। বাকি ২৫% টাকা বরাদ্দ প্রশাসন ও মানুষের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে।
শুক্রবার হাইকোর্টের এই রায়ের পর কড়া প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান যে, ৫০ হাজার টাকা নিশ্চই মাস্ক বা স্যানিটাইজার কিনতে লাগেনা। রাজনীতিকে ধর্মীয় আকারে নিয়ে এসে ভোট পাওয়ার খেলা চলছে এখানে। সেই সঙ্গে তিনি এটাও বলেন যে অতীতে ইমাম ভাতা নিয়েও রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল যে এই ভাতা দেবে ওয়াকফ বোর্ড, সরকার নয়। তাই কোনোভাবেই ধর্মীয় কারণে এই ভাতা নয়।
দিলীপের পাশাপাশি টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং’ও। এদিন টুইটারে তিনি লেখেন প্রথমে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল যে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের জন্য কমিটিগুলোকে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে মাস্ক-স্যানিটাইজার কেনার জন্য এই টাকা। ভোট পেতে হিন্দুদের ভাবাবেগের সাথে খেলা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।