
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃকরোনা ভাইরাসের অতিমারী ঠেকানোর জন্য ভারতের ভিন্ন অর্থনৈতিক নীতির প্রয়োজন ছিল, এমনটাই মন্তব্য করলেন গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী। তাঁর মতে, অর্থনীতি সম্পর্কে ভারতের বর্তমান নীতির ফলে তৈরি হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা। ভিন্ন নীতির অনুসরণের মাধ্যমে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব ছিল।
রবিবার আমেদাবাদের গুজরাট বিদ্যাপীঠের ১০১ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর পৌত্র গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী। সেখানেই ভিডিও বার্তায় তিনি ভারতের বর্তমান অর্থনীতি নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন অর্থনীতি নিয়ে ভারতের নতুন করে ভাবনার প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন। বর্তমানে অনুসৃত নীতিতে অর্থনীতির নগরায়ন এবং শিল্পায়ন বাস্তবে জনগণের স্থিতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই কারণেই করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্টি হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা।
তাঁর প্রশ্ন, “বিপুল সংখ্যক মানুষের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার ফলে কি সংক্রমণ আরো বাড়বে না?” ভিন্ন নীতি অনুসরণ করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হত বলে জানিয়েছেন ইউপিএ নেতা গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী। তাঁর কথা অনুযায়ী, “অন্য নীতি গ্রহণ করলে আমরা আরো বেশি করে হাসপাতাল, নার্সদের জন্য হোটেল, স্বাস্থ্য কর্মী পেতে পারতাম। কেবল রাজনৈতিক স্তরে বড় বড় শিল্প প্রকল্প আর সামাজিক স্তরে মন্দির ও মসজিদ নয়। করোনা পরিস্থিতিও আরো সুষ্ঠু ভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হত।”
শুধু তাই নয়, উৎসবের নামে করোনা বিধি না মেনে হুল্লোড় করার কড়া সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের এককালীন (২০০৪-২০০৯) রাজ্যপাল। “উৎসবের নামে যদি আমরা নিয়ম মানতে ভুলে যাই, তাহলে আদতে ক্ষতি কার হবে? গরীব মানুষের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হবে।” বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে ক্ষুধা নিবারণে ভারত অনেকাংশেই ব্যর্থ। তার উপর চলতি বছরের করোনা সংক্রমণ অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে ব্যাপক ভাবে। সেই সূত্রেই এদিন ভারত সরকারের নীতির সমালোচনা করলেন।