
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই যেমন প্রতিমুহূর্তে হাথরাস কাণ্ড নিয়ে তরজায় জড়িয়ে পড়ছে, তেমনি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ ও অমানবিক আচরণমূলক কার্যকলাপ বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হাথরাস এর ঘটনা নিয়ে নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে ফের একবার বিতর্কে জড়ালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
হাথরাস ঘটনার সমালোচনা করে মমতা ব্যানার্জি উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসনকে কাঠ গড়ায় তুলেছিলেন। নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জোর করে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে “লজ্জাজনক” বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে আজ মমতাকে খোঁচা দিতে গিয়ে হাথরাস কাণ্ডকে আর পাঁচটা স্বাভাবিক অপরাধমূলক ঘটনার সমান প্রমাণ করতে চেষ্টা করেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে হওয়া পুরানো বেশ কিছু নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে মমতা ব্যানার্জির প্রশাসনকে কাঠ গড়ায় তোলার চেষ্টা করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন “হাথরাস কাণ্ডে যারা দোষী তারা সবাই শাস্তি পাবে। অপরাধীরা সকলেই ধরা পড়েছে।” এরপরই দিলীপ ঘোষ এরাজ্যের প্রশাসনকে খোঁচা দিয়ে বলেন “হাথরাস নিয়ে যারা রাজনীতি করছে তারা বাংলার হাল দেখতে পাচ্ছে না? সারা দুনিয়ার জঙ্গিদের এই রাজ্য থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এরাজ্যে যেখানে সেখানে দাঙ্গা হয়। ধূলাগর, বাদুড়িয়া, আসানসোল, বসিরহাট, রানীগঞ্জ নানান জায়গায় এরই মধ্যে দাঙ্গা হয়ে গেছে। বাংলায় শান্তি আছে বলে মনে হয়? বাংলায় শ্মশানের শান্তি বিরাজ করছে।” এরপর দিলীপ ঘোষ গতকাল হাথরাস যাওয়ার পথে রাহুল গান্ধীর গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে বলেন “ওখানে রাহুল গান্ধী রাজনীতি করতে গিয়েছিল, তাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
হাথরাস আন্দোলন নিয়ে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ কংগ্রেসকে তৃণমূলের বি-টিম এবং অধীর চৌধুরীর আন্দোলনকে “লোক দেখানো” বলে মন্তব্য করেছেন। তার মতে দিল্লি নির্দেশ দিলে অধীর চৌধুরী মমতা ব্যানার্জির বাড়িতে গিয়ে চা খেয়েও আসতে পারেন। নতুন কৃষি বিল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন “ফোড়েরাই শহরে এসে আন্দোলন করছে। নতুন কৃষি বিলের ফলে কৃষকদের লাভ হবে। বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।”