“নারকো টেস্ট হওয়া উচিত অভিযুক্তদেরই”, দাবি হাথরাস কান্ডের নির্যাতিতার মায়ের

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক:হাথরাস কান্ডের নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের কেউ নারকো টেস্ট করতে চান না, রবিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনটাই জানালেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের হারানো কন্যার সঙ্গে হওয়া নৃশংসতা জন্য সুবিচার চান, কোনোরকম পরীক্ষা করাতে চান না।
এদিন জি নিউজের প্রতিনিধিরা নারকো টেস্টের প্রসঙ্গে ওই পরিবারের বক্তব্য জানতে চাইলে নির্যাতিতা তরুণীর মা জানান, নারকো টেস্ট করা উচিত ওই ঘটনার চার অভিযুক্তের ক্ষেত্রে, তাঁদের পরিবারের ক্ষেত্রে নয়। তিনি আরো বলেন তাঁরা তাঁদের মেয়ের দেহটি শেষ দেখাও দেখতে পান নি। উত্তর প্রদেশের পুলিশ মৃত তরুণীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে নিজেরাই রাতের অন্ধকারে গোপনে তা পুড়িয়ে ফেলে। এছাড়া, তরুণীর মা উত্তর প্রদেশের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে বয়ান পরিবর্তনের জন্য অনবরত চাপ দেওয়ার অভিযোগও করেছেন, বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার মা।
এদিকে হাথরাসের দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গতকাল তাঁর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ এও জানিয়েছেন হাথরাস কান্ডের নির্যাতিতা তরুণী ও তাঁর পরিবারকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে তাঁরা বদ্ধ পরিকর। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত।
এর মাঝেই সামনে এল নারকো টেস্টের জন্য পীড়িত পরিবারের অসম্মতি । প্রসঙ্গত, নার্কো টেস্টে বেশ কিছু ওষুধের ব্যবহারে করে মানুষের অগ্রজ মস্তিষ্ককে খানিকক্ষণের জন্য অকেজো করা হয়। ওষুধের মাধ্যমে অবচেতন মনকে জাগ্রত করে বেশি তথ্য জানতে চাওয়ার পদ্ধতি হল নার্কো টেস্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের অবচেতন মনকে সাধারণত নিষ্পাপ ধরা হয়। সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদে কেউ তথ্য গোপন করলেও অবচেতনে মস্তিষ্কের দেওয়া তথ্য সত্যি বলে মনে করা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তা তদন্তে কাজে লাগে। কিন্তু এই পরীক্ষা ধৃত চার অভিযুক্তের উপর করা উচিত বলে মনে করেছেন নির্যাতিতা তরুণীর মা।