হাথরাস কান্ডে অভিযুক্তরা কি মিথ্যে বলছেন? সত্য জানতে এবার চালু হচ্ছে পলিগ্রাফ টেস্টিং

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: প্রায় দুমাস কেটে গেছে, কিন্তু এখনও যেন রেশ কাটে নি বিভীষিকাময় হাথরাসের।এখনও হাথরাস গণধর্ষণ কান্ড নিয়ে জারি রয়েছে তরজা। এই দুমাসে নানা পথ ধরে এগিয়েছে হাথরাস কান্ডের তদন্ত, সামনে এসেছে একাধিক নতুন মোড়। কিন্তু চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছোনো সম্ভব হয় নি এখনও।
জানা গেছে, হাথরাস গণধর্ষণ কান্ডের সুরাহার জন্য এবার ব্রেন ম্যাপিং-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার চার অভিযুক্তকে পলিগ্রাফ টেস্ট এবং ব্রেন ম্যাপিং-এর জন্য গুজরাটের গান্ধীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এমনটাই খবর বিশেষ সূত্রের তরফে। অভিযুক্ত চারজনকেই রাখা হয়েছিল আলিগড় জেলে। সেখান থেকেই শনিবার সকালে সিবিআই-এর তদন্তকারী দল ওই চারজনের হেফাজত নেয়। হাথরাস পুলিশের তত্ত্বাবধানে চারজনকে নিয়ে যাওয়া হয় গান্ধীনগরে। টেস্টের পর অভিযুক্তদের আবার আলিগড় জেলেই ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সামনে এদিন আলিগড় জেলের সুপারিনটেনডেন্ট অলোক সিং জানান, “গান্ধীনগরে অভিযুক্তদের পলিগ্রাফ টেস্ট এবং ব্রেন ম্যাপিং হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাদের আবার জেলে নিয়ে আসা হবে।”
উল্লেখ্য, পলিগ্রাফ টেস্ট হল এক বিশেষ ধরণের সত্য উদঘাটন প্রক্রিয়া যেখানে অভিযুক্তদের একটানা প্রশ্ন করে যাওয়া হয় এবং তাদের রক্ত চাপ, ত্বকের আচরণ, হার্টবিট প্রভৃতির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় সে মিথ্যা বলছে কিনা। ব্রেন ম্যাপিং-এর মাধ্যমেও অনুরূপ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। হাথরাস কান্ডের চার মূল অভিযুক্ত সন্দীপ, রবি, রামু এবং লবকুশ সিকাওয়ারের উপর সেই পরীক্ষাই করা হবে এবার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশের হাথরাস গ্রামে এক তথাকথিত নিম্ন বর্ণের তরুণীর সঙ্গে ঘটে যায় পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা। ঘটনার ১৫দিন পর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তরুণীর মৃত্যু হলে সেই খবরে তোলপাড় হয় সারা দেশ। এমনকি তরুণীর মরদেহ রাতের অন্ধকারে গোপনে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ আসে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ধৃত চারজনই তথাকথিত উচ্চবর্ণের ব্যক্তি।