মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির মুখে কালি, চাঞ্চল্য হুগলিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: ফের নিম্ন মানের অস্বাস্থ্যকর মিড ডে মিল পরিবেশনের অভিযোগ উঠল রাজ্যের এক সরকারি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। হুগলির পান্ডুয়ায় ওই বিদ্যালয় থেকে দেওয়া মিড ডে মিলের খাবার খাওয়ার অযোগ্য ছিল, এমনটাই অভিযোগ অভিভাবকদের তরফে। এমনকি চালে পোকা ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
জানা গেছে,হুগলির জেলার চুঁচুড়া মহকুমার অন্তর্গত পান্ডুয়ার একটি সরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। সরাই তিন্না পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সরাই নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের অঙ্গনারী কেন্দ্র থেকে ৪৩ জন শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের মিড ডে মিলের চাল ও ডাল দেওয়া হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ,অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশুদের মিড ডে মিলের চাল ডাল দেওয়া হয় বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায় চালে পোকা ও ডালে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। সরকারি মিড ডে মিলে এমন অস্বাস্থ্যকর পচা খাবার দেওয়ার জন্য এদিন ওই স্কুলের সামনে হাজির হন অভিভাবকরা। তাঁরা এবং আরো কিছু গ্রামবাসী মিলে এই ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান এলাকায়।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন খাওয়ার অযোগ্য ওই পোকা ধরা চাল খাওয়ালে শিশুদের শরীর খারাপ করতে পারে। অসুস্থ হতে পারেন গর্ভবতী মহিলারাও। তাঁরা জানিয়েছেন তাঁরা চান স্কুলের মিড ডে মিলে পরিবেশিত খাবারের মান উন্নত হোক, এবার থেকে যেন ভালো চাল দেওয়া হয় স্কুলের তরফ থেকে। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাকি দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসছেন না।অন্যান্য কর্মীদের তত্ত্বাবধানেই মিড ডে মিলের কাজ চলে ওই স্কুলে।
বস্তুত, রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রচলিত মিড ডে মিলের প্রকল্প রাজ্যে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয়। সরকারি সাহায্যের এই চাল ডাল টুকুই মুখের অন্ন জোগায় অনেকেরই। গ্রাম বাংলার অধিকাংশ মানুষই তাই এক প্রকার নির্ভরশীল মিড ডে মিলের উপর। কিন্তু মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ এর আগেও উঠেছে একাধিকবার। বিশেষত বিনামূল্যের এই খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। করোনাকালে লকডাউন পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মিড ডে মিল যেন আরো বেশি করে নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে। তাই মুখের অন্নটুকুর মান খানিক উন্নত করতে সরব হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।