ভাগ্যের পরিহাস! রাস্তার ধারে ভিক্ষা করছেন আইআইটির ইঞ্জিনিয়ার

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিয়ারিং পড়েছিলেন তিনি, আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই জীবন সম্পর্কে মনে ছিল অনেক আশা, স্বপ্ন দেখতেন একদিন অনেক বড় হবেন। কিন্তু ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে জীবনের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া হয় নি সুরেন্দ্র বশিষ্ঠের।
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে রাস্তার ধারে বসে ভিক্ষা করতেন সুরেন্দ্র বশিষ্ঠ নামের বয়স্ক এক ব্যক্তি। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে তিনি দাবি করেছেন যে তিনি আইআইটি কানপুর থেকে পড়াশোনা করেছেন। নিজের দাবির সপক্ষে প্রাথমিক ভাবে দিয়েছেন প্রমাণও। নির্দ্বিধায় ইংরেজিতে কথা বলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ওই সংস্থার সদস্যদের।
সূত্রের খবরে জানা গেছে, সুরেন্দ্র বশিষ্ঠের বাবার নাম চেদালাল বশিষ্ঠ। ‘আশ্রম স্বর্গ সদন’ নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন তাঁকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে নিজেদের কাছে এনে রেখেছে। তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে জানা গেছে বিশেষ সূত্রের খবরে। ‘আশ্রম স্বর্গ সদন’-এর সদস্য বিকাশ গোস্বামী জানিয়েছেন, “বাস স্ট্যান্ডের কাছে খুবই খারাপ অবস্থায় আমরা ওনাকে খুঁজে পাই। যখন আমরা ওনার সঙ্গে কথা বলতে যাই, গড়গড় করে ইংরেজি বলে উনি আমাদের চমকে দেন। আমরা ওনাকে আমাদের আশ্রমে নিয়ে এসেছি এবং ওনার বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।”
বিকাশ বাবু আরো জানিয়েছেন, কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ১৯৬৯ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিটেক পাশ করেছিলেন সুরেন্দ্র বশিষ্ঠ নামের ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, এরপর ১৯৭২ সালে লক্ষ্ণৌয়ের ডিএবি (DAB) কলেজ থেকে তিনি এলএলএম (LLM) পাশও করেছিলেন। সুরেন্দ্র বশিষ্ঠ জানিয়েছেন তাঁর বাবা জেসি মিলের একজন কর্মী ছিলেন কিন্তু ৯০-এর দশকে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে কাজ হারান তিনি। কীভাবে এত উচ্চশিক্ষিত হয়েও এই ভাবে রাস্তার ধারে ভিক্ষা করার পরিস্থিতি হল সুরেন্দ্র বশিষ্ঠের, তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউই।