
বি নাথ, ব্যারাকপুর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গদিচ্যুত না করা পর্যন্ত ঘুমই আসবে না, এমনটাই বক্তব্য তাঁর। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা ব্যারাকপুর পৌঁছে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিজয়বর্গি এই মন্তব্য করেছেন। মূলত পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, “আগে বাংলায় বোমা গুলি চলতো। এখন কারবাইন চলছে। এরজন্য মমতাকে অনেক ভুগতে হবে।” পাশাপাশি রাজ্যে বিজেপি কর্মী মনীষ শুক্লর হত্যাকান্ডকে যে কেন্দ্রীয় শাসকদল কোনোভাবেই ছোটো করে দেখছে না, সেটাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “মনীষের হত্যাকান্ড ছোট ঘটনা নয়। দিল্লি এই ঘটনা নিয়ে চিন্তিত।”
উল্লেখ্য, বিজেপির যুব নেতা মনীষ শুক্লর খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং সিবিআই তদন্তের দাবিতে শুক্রবার সন্ধেতে টিটাগড় থানার সামনে থেকে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত হাল্লাবোল মিছিল করে বিজেপি। এই মিছিলে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা হাজির ছিলেন। হাজির ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়,সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়,অর্জুন সিং,বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত,পবন সিং,সুনীল সিং, ভাটপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌরভ সিং ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মিছিলের পর আয়োজিত সভায় রাজ্য বিজেপির নেতা নেত্রীরা একজোট হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করেন। মনীষ শুক্লর হত্যাকান্ডে শাসকদলের চক্রান্তের অভিযোগ করেন প্রায় সকলেই। মুকুল রায় বলেন, “মমতা বলেছেন সিআইডি তদন্ত যথেষ্ট। উনার সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে জানি উনি বিরোধী থাকাকালীন যেকোন ঘটনার জন্য সিবিআই তদন্ত দাবি করতেন। কিন্তু এখন উনি সিআইডি চাইছেন।”
মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধুনো করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জীও। “আর কত মনিশকে ওনি মারবেন। ২০২১ এর নির্বাচনে জেতার জন্য উনার কত লাশ চাই। উনি তো রাজ্যে লাশে ও রক্তের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন।” বলেন তিনি। এছাড়াও সাংসদ অর্জুন সিং বলেন,”মনীষের বাবার দায়ের করা এফ আই আরে দুই পুর প্রশাসক উত্তম দাস ও প্রশান্ত চৌধুরীর নাম আছে। অথচ ওদের ডেকে চা-বিস্কুট খাইয়ে তদন্তকারীরা ছেড়ে দিল।” এমনই নানা অভিযোগ আক্রমণে ভরে ছিল বিজেপির আজকের মিছিল।