
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক:একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের যে কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল শাসক শিবিরের আকাশে, তা নিয়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে উদ্বেগ। আর এই উদ্বেগের মূল কান্ডারি যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এদিন তৃণমূলের বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর তাঁর দল ত্যাগ যে ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন সকলেই।
শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার পর তাঁকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, “খ্যাপা ষাঁড় খেল দেখাচ্ছে। ২০২১-এর পর আর আসবে না।” সেই সঙ্গে একুশের নির্বাচনে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত সে কথাও জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “দুয়ারে সরকার আর স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাথায় করে রাখছে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চায়।” এখানেই শেষ নয়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধেও এদিন তোপ দাগেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ। একুশের নির্বাচনের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হবে রাজ্যপালের, এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়ও।তিনি বলেন, “এটাই প্রত্যাশা ছিল। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ১লা ডিসেম্বরে পর্যন্ত দল কথা বলেছে। ও জানিয়েছিল আমাদের সঙ্গে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপর আমরা আর কিছু বলিনি।”
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর স্বভাবতই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। একাধিক তৃণমূল নেতাদের প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ঝরে পড়েছে ক্ষোভ। দীর্ঘদিন মন্ত্রী পদে থেকে ভোটের আগে এভাবে দল ত্যাগকে ‘চরম বিশ্বাসঘাতকতার’ নিদর্শন বলেও উল্লেখ করেছেন শাসক শিবিরের নেতারা। উত্তরবঙ্গ সফর থেকে দল বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।