ভোটে লড়ছি, বুম্বাদা অল দ্যা বেস্ট বলেছে: কাঞ্চন মল্লিক

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ২০২১ বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। গত কয়েকদিন ধরে প্রচারের কাজে ছুটে বেড়িয়েছেন এমাথা থেকে ওমাথা। তাঁর কেন্দ্রে ভোট ১০ই এপ্রিল। ৮ই এপ্রিল প্রচারকার্য মিটিয়ে খোলামেলা সাক্ষাৎকার দিলেন মহানগর বার্তার প্রতিনিধি অর্পন চক্রবর্তীকে।
প্রশ্ন:হোমওয়ার্ক তো প্রায় শেষ আপনার, এবার ১০ তারিখ পরীক্ষা। হাসিখুশি কাঞ্চন মল্লিক কি ভিতরে ভিতরে একটু চাপা টেনশন অনুভব করছেন?
কাঞ্চন: অভিনয় করতে গেলেও একটা চাপা টেনশন থাকে,চরিত্রটা কীভাবে করব! কীভাবে ওটাকে হ্যান্ডেল করবো! এটা তো একটা অন্য পরীক্ষা অন্য টেনশন কিন্তু মানুষ যেভাবে আমাকে
ভালোবেসেছেন, পাশে থাকছে তাতে একটু সাহস বাড়ছে। এই আর কী!
প্রশ্ন:প্রথম ছবি রিলিজের সময় যে টেনশন আর আর এই যে টেনশনটা তারমধ্যে কতটা তফাৎ?
কাঞ্চন: প্রথম সিনেমা বেরোলে যে টেনশন হয়, এখন আমার নতুন ছবি বেরোলেও সে টেনশন হয়। তবে হ্যাঁ নির্বাচনের টেনশন আর সিনেমা রিলিজের টেনশনে একটা বেসিক কমন লাইন আছে। সেটা হল ‘পাবলিক’। পাবলিকই ঠিক করে আমার সিনেমাটা হিট হবে কী হবেনা, এই পাবলিকই ঠিক করবে আমি উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হব কী হবো না।
প্রশ্ন: আমরা দেখছি টলিউড মূলত দুটো শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে, একদল তৃণমূল কংগ্ৰেসে গেছে একদল বিজেপিতে গেছে। এদের ছাড়াও এমন কেউ শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছে যারা কোনো শিবিরেরই অংশ নয়?
কাঞ্চন: হ্যাঁ অনেকেই জানিয়েছে, বহুজন জানিয়েছে। বুম্বাদা অল দ্য বেস্ট বলেছে।
প্রশ্ন: আগে তো বন্ধু রুদ্র যেকোনো কাজে পিছিয়ে থাকলে মনখারাপ হত। এখন ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন দীর্ঘদিনের বন্ধু ,এইবার রুদ্র ভবানীপুরে এগিয়ে গেলে কি মনখারাপ হবে?
কাঞ্চন: না একদম নয়,রুদ্র আমার খুব ভালো বন্ধু। আমরা একসঙ্গে স্ট্রাগল করেছি। ‘হি ইজ আ ভেরি নাইস অ্যাক্টর’। কিন্তু নীতিগতভাবে দুজন দু শিবিরে রয়েছি। ভবানীপুর কেন্দ্রটা আমার সাত পুরুষের বাস।ভবানীপুর কেন্দ্রটা খুব টাফ। ওখানে খুব কঠিন লড়াই আছে এটুকু বলতে পারি। এর থেকে বেশি বলবনা।
প্রশ্ন:ভোট বৈতরণীতে জিতে গেলে বন্ধু রুদ্রনীলকে প্রথম এসএমসএ কী বলবেন?
কাঞ্চন: বলব ভাই! জনতা আমায় পার করে দিয়েছে।
প্রশ্ন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এখানে এলেন, সভা করলেন, তারপর বিরোধী শিবির এবং সাধারণ মানুষ বলছে ‘মমতা ব্যানাজি এলেন হেলিকপ্টারে, চলে গেলেন হেলিকপ্টারে, নৈটি রোড দিয়ে এলে মানুষের যন্ত্রণাটা বুঝতেন’
কাঞ্চন: শুভেন্দু নিশ্চই নৈটি রোড দিয়ে ঢুকেছে! বৃন্দা কারাট ও নিশ্চই নৈটি রোড দিয়ে ঢুকেছেন! আমি আশা করব নয় শুভেন্দু অধিকারী নয় বৃন্দা কারাট নয় দিলীপ বাবু রাস্তাটা ঠিক করবেন।