
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: ২০২১ বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় বহিরাগত তকমা জুটেছিল। এর পর মহানগর বার্তাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন মল্লিক বলেছিলেন যে হিজরে বলে তাঁকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি তাঁর বিরোধী রা।এবার অভিযোগের নতুন পালক যোগ হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাম্বার ভাইরাল হয়ে যেতেই কটুক্তিতে ভরা উড়ো এসএমএস আসতে শুরু করেছে তাঁর কাছে। এর আগেও তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় কাঞ্চন মল্লিককে। তিনি বলেন, ছিঃছিঃ আমি বুঝতে পারি না
এগুলো কি ধরনের মানসিকতার পরিচয় ? একজন মানুষের হয়তো একটি রাজনৈতিক দল বা কোনো শিল্পী বা কোনো ব্যক্তিকে নাও পছন্দ হতে পারে তাই বলে তাকে এরকম বাজে ভাষাতে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করবেন ? এটা কি তার পারিবারিক শিক্ষার পরিচয় ??
এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাঞ্চন মল্লিক আরো বলেন, “যিনি এই কাজটি করেছেন তিনি নিশ্চয়ই তার বাবা-মা বা পরিবারের অন্যদের সাথে একইভাবে একই ভাষায় কথা বলেন ! কারন কথাবার্তাতেই তো মানুষের মানসিকতা আর রুচির পরিচয় পাওয়া যায়….আর ওনার এইসব কথাতেই ওনার নিম্ন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে …
এখন যত দিন যাচ্ছে তত মানুষ তার মান আর হুশটা হারিয়ে ফেলছেন । তারা বর্তমানে এতো উচ্চ আশা ও উচ্চ আকাঙ্খার চাহিদাতে ভুগছেন যে তারা ভুলে যাচ্ছেন তাদের কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয় …..
এটা যেই করুক না কেন,আমি কোনো বিরোধী দলের লোক বা অন্য কাউকে দোষারোপ করছিনা কিন্তু আমার বক্তব্য তিনি তার বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কি একইভাবে কথা বলেন ? তিনি কি এমন নিম্ন মানসিকতার পরিবেশেই বড়ো হয়ে ওঠেছেন ? সে একজন যতই নিচু পরিবার থেকে জন্মগ্রহণ করুক না কেন,সমাজে মানুষ হিসেবে বসবাস করার জন্য একটা রুচি থাকার প্রয়োজন ! আমি ধিক্কার জানাই সমাজের এই সকল কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা মানুষদের !! আর কতো মানুষ ছোট হবে ?? ”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তীসহ তৃণমূল বিজেপি মিলিয়ে সেলিব্রিটিদের নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যার ক্যাপশনে বলা হয়, ‘যারা মানুষের জন্য কাজ করব বলে এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করুন’। এই ঘটনার পরই যারপরনাই ক্ষুব্ধ রাজ চক্রবর্তী, তিনি তাঁর ফোন নম্বর বন্ধ করে দিয়েছেন। এবার বিরক্তির সুর স্পষ্ট কাঞ্চন মল্লিকের গলাতেও।