“নিয়মিত শিরোনামে আসতে চায় কঙ্গনা”, বিস্ফোরক দাবি শাবানা আজমির


মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক:বলিউডের “কন্ট্রোভার্সি কুইন” কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা আজমি। এ বিষয়ে ‘মাসুম’ ছবির অভিনেত্রীর বক্তব্য, নিয়মিত ‘হেডলাইনে’ থাকার জন্যেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন কঙ্গনা রানাওয়াত। শুধু তাই নয়, কঙ্গনা নিজে যেটায় দক্ষ সেই অভিনয়টাই তাঁর মন দিয়ে করা উচিত বলে পরামর্শও দিয়েছেন শাবানা।
গত কয়েক মাস ধরেই নানা বিষয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর স্পষ্টবাদিতা আচমকাই যেন সাড়া ফেলে দিয়েছে চারিদিকে। হুমকি, সমালোচনা, বিরোধিতা, কোনোকিছুই তাঁকে থামাতে পারে নি। বলিউডের মাদকাসক্ত অন্ধকারময় দিকটিকে সকলের সামনে তুলে এনেছেন কঙ্গনাই। কেউ কেউ তাঁর এই সাহসিকতা, স্পষ্টবাদিতাকে কুর্নিশ জানালেও এহেন আচরণ ভালো চোখে দেখেন নি অনেকেই। সেই সূত্রেই এবার শাবানা আজমিও মুখ খুলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে।
জনৈক এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রবীণ অভিনেত্রী শাবানা আজমি বলেছেন, “কঙ্গনার ভয়, একদিন হয়তো ও শিরোনামে আসা বন্ধ হয়ে যাবে। কঙ্গনা ওর নিজের মিথেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। ও বলেছে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নারীবাদ শিখিয়েছে, জাতীয়তাবাদ শিখিয়েছে। আমি খুশি যে, ও এটা করেছে কেননা আর কেউ এসবে নজরই দেয়নি। আমার মনে হয়, ও ভয় করছে, এমন দিন আসবে যে ও আর হেডলাইন হবে না, তাই খবরে থাকতে ওকে আপত্তিকর, বেফাঁস কথাবার্তা বলতে হয়।” এখানেই থেমে থাকেননি শাবানা আজমি।”বেচারা মেয়ে” কঙ্গনাকে অভিনয়েই মন দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।। “কেন যে ও যেটা সবচেয়ে ভাল পারে, শুধু সেটাই করে না, অভিনয়!”, বলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুর পর থেকেই সে বিষয়ে কঙ্গনা রানাওয়াতের একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যে তোলপাড় শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুশান্তের সঙ্গে বলিউডে মাদক পাচার চক্রের সংযোগের দাবি করে শোরগোল ফেলে দেন তিনি। মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বলিউডের বড় বড় সব নাম। বলিউডের অভ্যন্তরে থেকে বলিউডের দিকেই কাদা ছোড়ার এই বিষয়টি মেনে নেন নি অনেকেই। শাবানা আজমি বলেছেন, “বেহাল অর্থনীতি, চিন সীমান্তে উত্তেজনা, ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ, কৃষক আন্দোলনের মতো ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর জন্য নিয়মিত অভিযান চলছে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত খারাপ দিকের ওপর আলো ফেলা হচ্ছে।”

