যত্রতত্র মূত্রত্যাগ! গন্ধে জেরবার সাধারণ মানুষ, নোংরা হচ্ছে স্বপ্নের শহর কলকাতা

অর্পন চক্রবর্তী: আইন রয়েছে, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তবু সব কিছুকে বুড়ো আঙুল। কলকাতার রাস্তায় একটু ফাঁকা জায়গায় চোখ মেললেই দেখতে পাওয়া যায় যত্রতত্ৰ প্রস্রাবের বহর। উত্তর থেকে দক্ষিণ চিত্রটা যে একই তা বলা বাহুল্য। কোথাও হয়তো একটু লুকিয়ে চুরিয়ে স্বল্প পরিমাণে কোথাও আবার নির্বিচারে চলছে জনসমক্ষেই মূত্রত্যাগ।
মহানগর বার্তার প্রতিনিধিরা চোখ রেখেছিল কলকাতার এসপ্ল্যানেডের দূরপাল্লা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া চত্বরে। সেখানে যে চিত্র ধরা পড়লো তা বর্তমান করোনাকালে পরিচ্ছন্নতার বয়ানে যেমন সুখকর নয়, সেই সঙ্গে ক্ষতিকারক কলকাতার সৌন্দর্যায়নেও। এসপ্ল্যানেডের রাণী রাসমনি অ্যাভিনিউ ফুটপাথের ধারে বাসের আড়ালে চলছে মূত্রত্যাগ। ফুটপাথ ধরে হেঁটে গেলে গন্ধে টেকা দায়। নাকে রুমাল দিয়ে কিংবা হাত দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে সেই জায়গা পার করতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা গেল পাবলিক টয়লেটের অভাব নেই, অনতিদূরেই রয়েছে প্রস্রাবখানা। তবুও সেখানে যেতে দ্বিধা মানুষের। তাই স্বাভাবিক ভাবেই আঙুল উঠছে মানুষের সচেতনতার উপরেই।
পথচারী বাপন সরকারের মতে, কিছু লোকের যত্রতত্ৰ মূত্রত্যাগের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে বহু লোককেই। সাথে পরিবেশের ক্ষেত্রেও এমন কর্মকান্ড ক্ষতিকারক। আরেক পথচারী শৈলেন দাসের কথায়, যেখানে সেখানে মল-মূত্র ত্যাগ করলে দুর্গন্ধ ছড়ায়। সামনেই টয়লেট রয়েছে তবু সচেতন না হয়ে মানুষ রাস্তাতেই কাজ সারছেন। অন্যদিকে রাস্তাঘাটে যাদের মূত্রত্যাগ করতে দেখা যায় বলা বাহুল্য তাদের অধিকাংশই পুরুষ। এবিষয়ে এক মহিলা পথচারীর বক্তব্য রাস্তাঘাটে পুরুষদের প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগ করতে দেখে অস্বাভাবিকতায় পড়তে হয় মহিলাদের।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নিরাপদ শহরের খেতাব জুটেছে কলকাতার। সাথে এই শহর পুরো দেশের গোটা বাঙালির সাংস্কৃতিক প্রাণ কেন্দ্রও বটে। প্রশাসন থেকে সরকার প্রত্যেকেই অঙ্গীকারবদ্ধ তিলোত্তমাকে সুন্দরতর থেকে সুন্দরতম করে তোলার ক্ষেত্রে। তবে সেই দায়িত্বের সিকি ভাগও কি আমজনতার নয়? প্রশ্ন উঠছে মানুষের সচেতনতার উপর।