
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা নিয়ে জারি তরজা। তমলুকের এই তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন সাংসদের অসন্তোষ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, দলের অভ্যন্তরেও তাঁকে ঘিরে দানা বাঁধছিল বিতর্ক। এমনকি গেরুয়া শিবিরে তাঁর যোগদান নিয়েও শুরু হয়েছিল একাধিক জল্পনা। অবশেষে শুক্রবার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
খাতায় কলমে দলের সদস্য পদ এখনও না ছাড়লেও, শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রীত্ব ত্যাগের সিদ্ধান্ত যে একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না শাসক শিবির, তা একাধিক নেতার আচরণেই স্পষ্ট হয়েছে। এদিন তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন নিজের অসন্তোষের কথা। সেই সঙ্গে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগও এনেছেন তিনি। যদিও কোথাও শুভেন্দু অধিকারীর নাম ব্যবহার করেননি শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দু নিয়ে আলোড়নের মাঝেই এদিন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে সেখানে লেখা রয়েছে দলের সাম্প্রতিক টালমাটাল অবস্থা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উক্তিও। “আমি তো ওদের সব দিয়েছি, আর কি চায় ও? আমার জীবনটাই এবার দেওয়া বাকি”, এমনটাই উক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
দল নেত্রীর এই উক্তির নীচে লেখা রয়েছে, “সত্যি বলছি, দিদির এই কথা শোনার পর আজ ঘৃণা হচ্ছে আপনার উপর।” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য যে তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেই ইঙ্গিত করে, তা বলা বাহুল্য। তবে এখানেই শেষ নয়, ছবির সঙ্গে সঙ্গে কল্যাণ বাবু আরো লিখেছেন, “যারা বেশি পেয়েছে, তারাই দিদিকে betray (বিশ্বাসঘাতকতা) করেছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রীত্ব ত্যাগের পাশাপাশি আরো এক ধাক্কা খেয়েছে শাসক দল। দক্ষিণ কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী গতকালই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এদিন কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে আহ্বান সত্ত্বেও উপস্থিত হননি শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে তাঁর দল ত্যাগ যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা, শাসক শিবিরও যেন টের পেয়ে গেছে সে কথা।