
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বাম দলগুলির সঙ্গে ‘আন্তরিক’ জোট গড়ার ইঙ্গিত দিল কংগ্রেস। শুক্রবার রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচিত সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কাছ থেকে তেমনটাই ইঙ্গিত মিলল। দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভার পরেই এমন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি।
বস্তুত, শুক্রবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর প্রথম কলকাতায় বৈঠক করেন অধীর চৌধুরী। রাজ্য কংগ্রেসের একগুচ্ছ নেতার সঙ্গে প্রথমবার আলোচনায় বসেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থান কেমন হবে তা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন তিনি। তিনি বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট হলেও তা তেমন দৃঢ় ছিল না। মতাদর্শগত পার্থক্যই হয়তো জোটে আন্তরিকতার অভাবের অন্যতম কারণ ছিল। কিন্তু এবছর তার পুনরাবৃত্তি যে তিনি চান না, যা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। দলীয় নেতা নেত্রীদের প্রতি তাঁর স্পষ্ট বার্তা, বামেদের সঙ্গে এ বার জোট করতে হবে আরও আন্তরিক ও পাকাপোক্ত ভাবে। সেই সঙ্গেই বাড়াতে হবে কংগ্রেসের নিজস্ব দলীয় কর্মসূচি। এছাড়া জানা গেছে, অধীরবাবুর নেতৃত্বে আজ, শনিবার কলকাতায় মিছিলও করতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস।
বিধান ভবনে শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের ডজনখানেক নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন অধীরবাবু।জানা গেছে, সকলেই এবার বামেদের সঙ্গে জোট বাঁধতে ইচ্ছুক। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির পরিবর্তে একটি বিকল্প দল যে গড়ে তোলা আবশ্যিক তা সকলেই জানিয়েছেন। আর তাই মতাদর্শের পার্থক্য ভুলে একত্র হতে চায় বাম-কংগ্রেস। এছাড়া, জানা গেছে দলীয় বৈঠকের পরে বিধায়ক নেপাল মাহাতোকে নিয়ে প্রয়াত নেতা সোমেন মিত্রের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী শিখা মিত্রের সঙ্গে দেখাও করেন অধীরবাবু।
বৈঠকে নেপালবাবু দাবি করেন, কংগ্রেস ৬০% এবং বাম ৪০% আসনে লড়বে— এই সমীকরণে জোট হওয়া উচিত। নেপালবাবুদের কথায় জোটের বিরোধিতা করে তাঁরা সে বার ‘ভুল’ করেছিলেন। বৈঠকে অধীরবাবুর পরামর্শ, দলের ‘সম্মান’ বাঁচিয়ে যা করার, করতে হবে।বামেদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচির পরিকল্পনা ও আয়োজন যেন একসঙ্গেই হয়, একতরফা নয়, তা খেয়াল রাখার কথাও বলেছেন তিনি।