
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের অতিমারীর কারণে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন, তারই আরো এক করুণ দৃষ্টান্ত সামনে এল মুম্বাইয়ের এক ঘটনায়। লকডাউনে মায়ের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চা বিক্রি করে সংসারের ভার কাধে তুলে নিল ১৪ বছরের এক কিশোর। ঘটনা সামনে আসতে গভীর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরের সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাইয়ের ১৪ বছর বয়সী ওই বালকের নাম সুভান। করোনা অতিমারীর জেরে গত মার্চ মাস থেকে গোটা দেশে যে লকডাউন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তাতেই অন্য অনেকের মতো কাজ হারান সুভানের মা। তিনি একটি স্কুল বাসের পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন। লকডাউনে স্কুল গুলিতে অনলাইনে ক্লাস শুরু হওয়ার ফলে স্কুল বাসের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই তাঁর রোজগারও বন্ধ হয়ে গেছে।
সুভান জানিয়েছে, “আমাদের বাবা নেই। ১২ বছর হল বাবা মারা গেছেন। আমার বোনদের অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। ওরা তাতেই পড়াশোনা চালাচ্ছে। আমি তা করছি না। স্কুল আবার খুললে আমি পড়া শুরু করব।” বস্তুত, সুভানদের পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন ওদের মা। মায়ের রোজগার বন্ধ হওয়ায় কার্যত অথৈ জলে পড়ে পরিবার। এমতাবস্থায় দোকানে চা বিক্রি ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা ছিল তা সুভানের কাছে।
Mumbai: A 14-year-old boy, Subhan sells tea to support his family after his mother's earnings stopped, amid #COVID19 pandemic. She worked as a school bus attendant. He says, "My father died 12 years ago. My sisters study via online classes, I'll resume mine after schools reopen." pic.twitter.com/bwgVMCTkYI
— ANI (@ANI) October 29, 2020
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকে করোনা অতিমারী ঠেকাতে দেশ জুড়ে যে লকডাউন প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল তাতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেপ্টেম্বর থেকে আনলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনরায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু হলেও যারা কাজ হারিয়েছেন তারা আর তা ফিরে পাননি। ফলে বেকারত্ব গ্রাস করেছে দেশের বহু মানুষকেই। তবু জীবনের লড়াইয়ে হার মানে নি সুভানরা।