তৃণমূল নেতা তরুণ জানার সহযোগিতায় ইয়াস বিধস্ত গ্রামবাসীদের পাশে শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: সমগ্র পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি যখন যশের কারণে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন তখন একপ্রকার বলাবাহুল্য দেবদূতের মতোই তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার জানা। এদিন তাঁর তত্বাবধানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আমতলিয়া অঞ্চলে দূর্গতদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন লোপামুদ্রা মিত্র।
প্রসঙ্গত এদিন তাঁর উপস্থিতিতে যথেষ্ট মনোবল বেড়ে গিয়েছে এই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের। এদিন তিনি বলেন, “সমগ্র বছর ধরেই আমরা প্রায় মেদিনীপুরে অনুষ্ঠান করে থাকি। করোনার অনেক আগেও আমরা এই অঞ্চলে এসে অনুষ্ঠান করে গিয়েছি। এই দূর্দিনে যদি ওঁদের পাশে এসে না দাঁড়াই তাহলে একেবারেই তা অনৈতিক হবে।”
উল্লেখ্য, বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের আগের দিনই তিনি এই অঞ্চলে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানও পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটির পর তিনি ওই অঞ্চলে ত্রাণ বিলি করেন। এছাড়াও এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ বাবুর উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়া হয় বামুনিয়া অঞ্চলে। এই ত্রাণ বিলি কর্মসূচীতে ওই এলাকার সুখদেব নামক এক ব্যক্তি জানান, “যশের কারণে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রাম। ঊনপঞ্চাশের বন্যার কথা শুনেছিলাম কিন্তু প্রথমবার যশ নামক এই ঝড় চোখে দেখলাম।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন,”সরকারকে অনুরোধ করছি আমাদের পাশে যেন এসে তাঁরা দাঁড়ান। আমাদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এত ক্ষতির মাঝেও আমাদের এখানকার বিজেপি বিধায়ক সুমিতা সিনহার কোনো দেখা পায়নি। কিন্তুু উল্টোদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তরুণ বাবুর জন্য পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। যশ পরবর্তী সময়ে তাঁর অসংখ্য কর্মসূচীতে গ্রামবাসীরা এখন স্বস্তিবোধ করছে।”