লাভ জিহাদ সন্দেহে জোর করে গর্ভপাত! জন্ম দেওয়ার আগেই সন্তানকে হারালেন তরুণী

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: বিবাহের নামে ধর্মান্তর বা লাভ জিহাদ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই দেশ জুড়ে দানা বেঁধেছে একাধিক বিতর্ক। দেশের নানা প্রান্তে লাভ জিহাদের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে ইতিমধ্যেই এই ধর্মীয় প্রতারণা রুখতে কড়া আইন প্রণয়ণ করা হয়েছে। এর মাঝেই সম্ভবত লাভ জিহাদ বিরোধী আইনের প্রথম বলি হল উত্তরপ্রদেশে।
লাভ জিহাদ সন্দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে গর্ভপাত করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন উত্তরপ্রদেশের এক ২২ বছর বয়সী তরুণী। ওই তরুণীর স্বামী ইসলাম ধর্মাবলম্বী। জানা গেছে, নিজেদের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন তাঁরা, পথে তাঁদের আটক করে স্থানীয় বজরং দলের সদস্যরা। উত্তর প্রদেশের অ্যান্টি কনভার্সন বা লাভ জিহাদ বিরোধী আইন অনুযায়ী তাঁরা পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই যুগলকে।
সর্বভারতীয় সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই তরুণীর স্বামী এবং দেওরকে প্রাথমিক ভাবে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ১৩ দিন ধরে পুলিশি হেফাজতে থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে লাভ জিহাদ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। ফলে শীঘ্রই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে, ওই তরুণীকে গ্রেফতার করার বদলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল “নারী নিকেতন” নামের এক সংস্থায়। সেখানেই ইনজেকশনের মাধ্যমে তাঁর গর্ভপাত করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
এ ব্যাপারে ড: পিএস সিসোদিয়া, যিনি ওই তরুণীকে পরীক্ষা করেছেন তিনি জানিয়েছেন, “আমরা দেখেছি গর্ভপাত হয়েছে। ওঁর ইউটেরাসে একটা ইনফেকশন হয়েছে। ভবিষ্যতে জটিলতা এড়ানোর জন্য তার চিকিৎসা করা দরকার।” তরুণী জানিয়েছে, “নারী নিকেতনে” তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়েছে। তাঁকে ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করার জন্য হেনস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সে। শুধু তাই নয়, তাঁকে একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ইনজেকশন দেওয়ায় ওই সংস্থার কর্মীরা, যার ফলে তাঁর গর্ভপাত হয়েছে, জানিয়েছে ওই তরুণী।
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি রিপোর্ট ফাইল করেছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁর স্বামী এবং দেওরকে যাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।